বর্তমানে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা প্রায় সবাই চাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে । সেজন্য আমরা ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি।  কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে জগতে।  সেই কন্টেন্ট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে,  যেমন ভিডিও কনটেন্ট, অডিও কনটেন্ট কিংবা টেক্সট কন্টেন্ট।   কিন্তু যারা নিয়মিত কনটেন্ট লেখেন বা তৈরি করেন তাদের একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়  যে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে তেমন কোন টপিকের আইডিয়া খুঁজে পাওয়া যায় না।  যারা নতুন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাদের জন্য এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা না হলেও যারা নিয়মিত কন্টেন্ট রাইটিং করে থাকেন তাদের কাছে এটা একটি খুবই বড় সমস্যা। 

 কিন্তু যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তাদের তো আর এই সমস্যার জন্য বসে থাকলে চলবে না।  এই সমস্যা থেকে উত্তরণের কিছু পথ খুঁজে বের করতে হবে।  তাই আমি আপনাদেরকে এমন কিছু টিপস শেয়ার করতে চলেছি যার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের এই সমস্যা থেকে উঠতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে আসা যাক বিস্তারিত।

১.  এ আই এর সহায়তা নিয়ে টপিক তৈরি করুন।

বর্তমানে ইন্টারনেটের এই যুগে এ আই একটি বড় সম্ভাবনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।  আগে আমরা কোন কিছু জানার জন্য যেমন বলতাম google করো এখন আর সেই কথাটি না বলে বলি  এ আই এ সার্চ কর।  কারণ গুগল করলে আমাদের অনেক কিছু খুঁজে বের করতে হয়,  আর সেটা যদি আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে করি তাহলে সঠিক এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে পেয়ে যাব।  আর আপনি এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করেই আপনার কন্টেন্টের টপিক খুঁজে বের করতে পারেন।  বর্তমানে অনেকগুলো জনপ্রিয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বাজারে এসেছে।  এদের মধ্যে কিছু জনপ্রিয় এ আই হলঃ ChatrGPT, Gemeni, Copilot etc. এছাড়াও বাজারে নতুন আরেকটি চাটবোর্ড এসেছে Deepseek  নামে।  আপনি এগুলো ব্যবহার করেই আপনার টপিক খুঁজে বের করতে পারেন। 

 ধরুন আপনি টেকনিক্যাল কনটেন্ট তৈরি করে থাকেন।  তাহলে আপনি যে কোন একটি এআই এ গিয়ে সার্চ করতে পারেন “  টেকনিক্যাল কনটেন্ট লেখার জন্য দশটি কনটেন্ট টপিক চাই”।  অথবা আপনি আপনার মতো করে সার্চ করতে পারেন।  সার্চ করার সাথে সাথে ওই চ্যাট বট আপনাকে আপনার কাঙ্খিত টপিক গুলো দিয়ে দিবে।  সেটি ব্যবহার করে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং  করতে পারেন। 

 

২.   সমসাময়িক কিছু কনটেন্ট  ক্রিয়েটর কে ফলো করা।

 আপনি যে টপিকের উপর কাজ করছেন সে টপিকের ওপর আরো অনেক ক্রিয়েটর কাজ করে যাচ্ছে।  তাই আপনি তাদের কাছ থেকে আইডিয়া নিতে পারেন। আপনি যদি তাদের কনটেন্টগুলো নিয়মিত পড়েন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে তারা কোন টপিকে এর উপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করছে এবং  আপনিও আপনার কনটেন্ট এর জন্য একটি ভালো টপিক খুঁজে পাবেন।  আর তারা যে কনটেন্টই তৈরি করছে আপনি তাদের কনটেন্টের ধারণাকে কাজে লাগিয়ে আরো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে নতুন কনটেন্ট তৈরি করবেন। 

 

 এর মধ্যে সবথেকে ভালো উপায় হল আপনি যদি তাদের কনটেন্টগুলো নিয়মিত পড়েন তাহলে আপনি দেখবেন যে তাদের কন্টেন্টে কি কি জায়গায় ভুল আছে।  আপনি তাদের ভুলগুলোকে নিজের মনে বা খাতায় নোট করে রাখবেন এবং আপনার কন্টেন্টে সেই ভুলগুলোকে শুধরিয়ে দিবেন।  এতে করে আপনার  কনটেন্টটি তাদের থেকে আরও উন্নত হবে।  এবং ভিজিটর আপনার কন্টেন্টের উপরই বেশি নজর দিবে।  তাই আপনি সমসাময়িক কনটেন্ট ক্রিয়াটারদের ফলো করতে পারেন।  কিন্তু মনে রাখবেন তাদের লেখা বা আইডিয়াকে সরাসরি  কপি করবেন না।  এতে করে আপনারই ক্ষতি। 

 

৩. কনটেন্ট রিলেটেড ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত থাকুন।

 আপনি যে ধরনের কনটেন্ট লিখে থাকেন বা  আপনি যে ধরনের কন্টেন্টের উপর বেশি ফোকাস দিয়ে থাকেন সে ধরনের ফেসবুক গ্রুপে সাথে আপনি যুক্ত থাকতে পারেন।  এতে করে আপনার  একটি ভালো আইডিয়া তৈরি হবে  কনটেন্ট সম্পর্কে।  ফেসবুকে বর্তমানে প্রতিটা বিষয়ের উপর অনেক ধরনের গ্রুপ আছে।  আর আপনি সেই গ্রুপে যুক্ত থাকলে তাদের কমিউনিটি থেকে আইডিয়া দিতে পারবেন।  এবং বুঝতে পারবেন যে পাঠক আসলে কোন ধরনের কন্টেন্ট এর ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।  এজন্য আপনার সবচেয়ে ভালো এবং কার্যকর উপায় হল প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ধরে অন্য ক্রিয়েটরদের কন্টেন্ট  পড়া।  

 ওইসব ক্রিয়েটরদের কনটেন্ট থেকে আইডিয়া গ্রহণ করা এবং ভুল ত্রুটি গুলো লক্ষ্য করা এবং নিজের কন্টেন্টে সেই ভুল ত্রুটি গুলো সংশোধন করে এবং আরো নতুন কিছু সংযোজন করে উপস্থাপন করা।  তাই আপনি যদি আপনার কন্টেন্টের জন্য টপিক খুঁজে বের করতে সমস্যা বোধ করেন তাহলে আজই বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হন। 

 

৪.  google এ সার্চ করা। 

 কনটেন্টের টপিক খুঁজে বের করার জন্য  গুগল একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হতে পারে।  কারণ আপনি যদি একটি টপিকের উপর google সার্চ করেন তাহলে google তার সাজেশন লিস্টে আরো একাধিক টপিক যুক্ত করে দেয় যেগুলো পাঠকরা বেশি সার্চ করেছে বা পড়েছে সে ধরনেরই টপিক।  তাই আপনি যদি কোন টপিকের উপর google এ সার্চ করেন তাহলে দেখবেন একটু নিচে google আরো কিছু টপিক আপনাকে সাজেস্ট করছে।  আসলে এ টপিকগুলো গুগলে একাধিকবার সার্চ করা হয়েছে।  তাই আপনি যদি এভাবে সার্চ করে এবং রিসার্চ করে গুগলকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি অনেক কন্টেন্ট এর জন্য টপিক খুঁজে পাবেন। 

সবচেয়ে ভালো এবং কার্যকর উপায় হল আপনি যে টপিকটি অন্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরের কাছ থেকে ধারনা লাভ করেছেন সেটিকে গুগলে সার্চ করুন।  করলে google আপনাকে আরো কিছু কনটেন্টের টপিক সাজেশন দিবে।  এখন আপনি সেই টপিকগুলোর মধ্যে রিসার্চ করুন।  করে খুঁজে বের করুন যে কোন টপিকের উপর কাজ করলে আপনার বেশি সুবিধা হবে।  এভাবে আপনি প্রতিনিয়ত আপনার কন্টেন্টের জন্য টপিক খুঁজে বের করতে পারবেন। 

 

৫.  পুরনো  কনটেন্ট রিসার্চ এবং দর্শকের মন্তব্য গ্রহণ। 

 আপনি যখন কোন কনটেন্ট লিখবেন,  তারপরে দর্শকরা পাঠ করার পরে মন্তব্যে আপনাকে আরো কিছু বিষয়বস্তুর ওপর কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য বলতে পারে।  আপনি তাদের মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে ভালো টপিক গুগলে খুঁজে বের করুন।  এবং সেই টপিক এর উপর কন্টেন্ট তৈরি করুন। 

 আবার,  আপনি আপনার পুরনো কন্টেন্ট গুলোকে একটু পড়ুন।  তাহলে আপনি দেখবেন যে আপনার পুরোনো কন্টেন্টের ভেতরেও কিছু ভুল-ত্রুটি বা গ্যাপ রয়ে গেছে।  আপনি সেই ভুল ত্রুটি গুলোর উপরে কাজ করুন এবং নতুন কনটেন্ট তৈরি করুন। 

 

উপসংহার

 যারা নিয়মিত কন্টেন্ট লিখে থাকেন তারা হয়তো টপিক খুঁজে বের করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন।  আশা করি আমার এই পোস্টটি থেকে আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন।  উপরের টিপসগুলো ফলো করুন তাহলে আপনি অনেক ধরনের কন্টেন্টের আইডিয়া।  এমনও হতে পারে,  এই সার্চ করতে করতে আপনি এমন একটি কন্টেন্ট তৈরি করে ফেলেছেন যেটা হয়তো এর আগে কেউই করতে পারে নাই।  তাই চেষ্টা করতে থাকুন সফলতা আসবেই। 

 আর পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে একটি লাইক তো আশা করতে পারি!  আর যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে কমেন্টে জানিয়ে দিন।

Shares:
Leave a Reply

বর্তমানে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা প্রায় সবাই চাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে । সেজন্য আমরা ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি।  কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে জগতে।  সেই কন্টেন্ট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে,  যেমন ভিডিও কনটেন্ট, অডিও কনটেন্ট কিংবা টেক্সট কন্টেন্ট।   কিন্তু যারা নিয়মিত কনটেন্ট লেখেন বা তৈরি করেন তাদের একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়  যে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে তেমন কোন টপিকের আইডিয়া খুঁজে পাওয়া যায় না।  যারা নতুন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাদের জন্য এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা না হলেও যারা নিয়মিত কন্টেন্ট রাইটিং করে থাকেন তাদের কাছে এটা একটি খুবই বড় সমস্যা। 

 কিন্তু যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তাদের তো আর এই সমস্যার জন্য বসে থাকলে চলবে না।  এই সমস্যা থেকে উত্তরণের কিছু পথ খুঁজে বের করতে হবে।  তাই আমি আপনাদেরকে এমন কিছু টিপস শেয়ার করতে চলেছি যার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের এই সমস্যা থেকে উঠতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে আসা যাক বিস্তারিত।

১.  এ আই এর সহায়তা নিয়ে টপিক তৈরি করুন।

বর্তমানে ইন্টারনেটের এই যুগে এ আই একটি বড় সম্ভাবনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।  আগে আমরা কোন কিছু জানার জন্য যেমন বলতাম google করো এখন আর সেই কথাটি না বলে বলি  এ আই এ সার্চ কর।  কারণ গুগল করলে আমাদের অনেক কিছু খুঁজে বের করতে হয়,  আর সেটা যদি আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে করি তাহলে সঠিক এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে পেয়ে যাব।  আর আপনি এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করেই আপনার কন্টেন্টের টপিক খুঁজে বের করতে পারেন।  বর্তমানে অনেকগুলো জনপ্রিয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বাজারে এসেছে।  এদের মধ্যে কিছু জনপ্রিয় এ আই হলঃ ChatrGPT, Gemeni, Copilot etc. এছাড়াও বাজারে নতুন আরেকটি চাটবোর্ড এসেছে Deepseek  নামে।  আপনি এগুলো ব্যবহার করেই আপনার টপিক খুঁজে বের করতে পারেন। 

 ধরুন আপনি টেকনিক্যাল কনটেন্ট তৈরি করে থাকেন।  তাহলে আপনি যে কোন একটি এআই এ গিয়ে সার্চ করতে পারেন “  টেকনিক্যাল কনটেন্ট লেখার জন্য দশটি কনটেন্ট টপিক চাই”।  অথবা আপনি আপনার মতো করে সার্চ করতে পারেন।  সার্চ করার সাথে সাথে ওই চ্যাট বট আপনাকে আপনার কাঙ্খিত টপিক গুলো দিয়ে দিবে।  সেটি ব্যবহার করে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং  করতে পারেন। 

 

২.   সমসাময়িক কিছু কনটেন্ট  ক্রিয়েটর কে ফলো করা।

 আপনি যে টপিকের উপর কাজ করছেন সে টপিকের ওপর আরো অনেক ক্রিয়েটর কাজ করে যাচ্ছে।  তাই আপনি তাদের কাছ থেকে আইডিয়া নিতে পারেন। আপনি যদি তাদের কনটেন্টগুলো নিয়মিত পড়েন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে তারা কোন টপিকে এর উপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করছে এবং  আপনিও আপনার কনটেন্ট এর জন্য একটি ভালো টপিক খুঁজে পাবেন।  আর তারা যে কনটেন্টই তৈরি করছে আপনি তাদের কনটেন্টের ধারণাকে কাজে লাগিয়ে আরো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে নতুন কনটেন্ট তৈরি করবেন। 

 

 এর মধ্যে সবথেকে ভালো উপায় হল আপনি যদি তাদের কনটেন্টগুলো নিয়মিত পড়েন তাহলে আপনি দেখবেন যে তাদের কন্টেন্টে কি কি জায়গায় ভুল আছে।  আপনি তাদের ভুলগুলোকে নিজের মনে বা খাতায় নোট করে রাখবেন এবং আপনার কন্টেন্টে সেই ভুলগুলোকে শুধরিয়ে দিবেন।  এতে করে আপনার  কনটেন্টটি তাদের থেকে আরও উন্নত হবে।  এবং ভিজিটর আপনার কন্টেন্টের উপরই বেশি নজর দিবে।  তাই আপনি সমসাময়িক কনটেন্ট ক্রিয়াটারদের ফলো করতে পারেন।  কিন্তু মনে রাখবেন তাদের লেখা বা আইডিয়াকে সরাসরি  কপি করবেন না।  এতে করে আপনারই ক্ষতি। 

 

৩. কনটেন্ট রিলেটেড ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত থাকুন।

 আপনি যে ধরনের কনটেন্ট লিখে থাকেন বা  আপনি যে ধরনের কন্টেন্টের উপর বেশি ফোকাস দিয়ে থাকেন সে ধরনের ফেসবুক গ্রুপে সাথে আপনি যুক্ত থাকতে পারেন।  এতে করে আপনার  একটি ভালো আইডিয়া তৈরি হবে  কনটেন্ট সম্পর্কে।  ফেসবুকে বর্তমানে প্রতিটা বিষয়ের উপর অনেক ধরনের গ্রুপ আছে।  আর আপনি সেই গ্রুপে যুক্ত থাকলে তাদের কমিউনিটি থেকে আইডিয়া দিতে পারবেন।  এবং বুঝতে পারবেন যে পাঠক আসলে কোন ধরনের কন্টেন্ট এর ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।  এজন্য আপনার সবচেয়ে ভালো এবং কার্যকর উপায় হল প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ধরে অন্য ক্রিয়েটরদের কন্টেন্ট  পড়া।  

 ওইসব ক্রিয়েটরদের কনটেন্ট থেকে আইডিয়া গ্রহণ করা এবং ভুল ত্রুটি গুলো লক্ষ্য করা এবং নিজের কন্টেন্টে সেই ভুল ত্রুটি গুলো সংশোধন করে এবং আরো নতুন কিছু সংযোজন করে উপস্থাপন করা।  তাই আপনি যদি আপনার কন্টেন্টের জন্য টপিক খুঁজে বের করতে সমস্যা বোধ করেন তাহলে আজই বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হন। 

 

৪.  google এ সার্চ করা। 

 কনটেন্টের টপিক খুঁজে বের করার জন্য  গুগল একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হতে পারে।  কারণ আপনি যদি একটি টপিকের উপর google সার্চ করেন তাহলে google তার সাজেশন লিস্টে আরো একাধিক টপিক যুক্ত করে দেয় যেগুলো পাঠকরা বেশি সার্চ করেছে বা পড়েছে সে ধরনেরই টপিক।  তাই আপনি যদি কোন টপিকের উপর google এ সার্চ করেন তাহলে দেখবেন একটু নিচে google আরো কিছু টপিক আপনাকে সাজেস্ট করছে।  আসলে এ টপিকগুলো গুগলে একাধিকবার সার্চ করা হয়েছে।  তাই আপনি যদি এভাবে সার্চ করে এবং রিসার্চ করে গুগলকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি অনেক কন্টেন্ট এর জন্য টপিক খুঁজে পাবেন। 

সবচেয়ে ভালো এবং কার্যকর উপায় হল আপনি যে টপিকটি অন্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরের কাছ থেকে ধারনা লাভ করেছেন সেটিকে গুগলে সার্চ করুন।  করলে google আপনাকে আরো কিছু কনটেন্টের টপিক সাজেশন দিবে।  এখন আপনি সেই টপিকগুলোর মধ্যে রিসার্চ করুন।  করে খুঁজে বের করুন যে কোন টপিকের উপর কাজ করলে আপনার বেশি সুবিধা হবে।  এভাবে আপনি প্রতিনিয়ত আপনার কন্টেন্টের জন্য টপিক খুঁজে বের করতে পারবেন। 

 

৫.  পুরনো  কনটেন্ট রিসার্চ এবং দর্শকের মন্তব্য গ্রহণ। 

 আপনি যখন কোন কনটেন্ট লিখবেন,  তারপরে দর্শকরা পাঠ করার পরে মন্তব্যে আপনাকে আরো কিছু বিষয়বস্তুর ওপর কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য বলতে পারে।  আপনি তাদের মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে ভালো টপিক গুগলে খুঁজে বের করুন।  এবং সেই টপিক এর উপর কন্টেন্ট তৈরি করুন। 

 আবার,  আপনি আপনার পুরনো কন্টেন্ট গুলোকে একটু পড়ুন।  তাহলে আপনি দেখবেন যে আপনার পুরোনো কন্টেন্টের ভেতরেও কিছু ভুল-ত্রুটি বা গ্যাপ রয়ে গেছে।  আপনি সেই ভুল ত্রুটি গুলোর উপরে কাজ করুন এবং নতুন কনটেন্ট তৈরি করুন। 

 

উপসংহার

 যারা নিয়মিত কন্টেন্ট লিখে থাকেন তারা হয়তো টপিক খুঁজে বের করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন।  আশা করি আমার এই পোস্টটি থেকে আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন।  উপরের টিপসগুলো ফলো করুন তাহলে আপনি অনেক ধরনের কন্টেন্টের আইডিয়া।  এমনও হতে পারে,  এই সার্চ করতে করতে আপনি এমন একটি কন্টেন্ট তৈরি করে ফেলেছেন যেটা হয়তো এর আগে কেউই করতে পারে নাই।  তাই চেষ্টা করতে থাকুন সফলতা আসবেই। 

 আর পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে একটি লাইক তো আশা করতে পারি!  আর যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে কমেন্টে জানিয়ে দিন।

Shares:
Leave a Reply