আপনি যদি আপনার জীবনের লক্ষ্য বা স্বপ্ন পূরণ করে সফল হতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে ধারাবাহিকভাবে (স্টেপ বাই স্টেপ) এগিয়ে যেতে হবে; সফলতা কখনোই শর্টকাট মেথডে এচিভ করা সম্ভব নয় [হয়তো ক্ষেত্র বিশেষে সময় স্বাপেক্ষে মাঝে মাঝে সফলতা পাওয়া যায় সত্য তবে অবশ্যই স্থায়ীভাবে স্থিতিশীলতায় সুফলতা লাভ করতে আপনাকে স্ট্র্যাটেজিক হওয়া কর্তব্য]; আসুন জীবনের লক্ষ্য বা স্বপ্ন পূরণে সফলতা লাভে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাই…

প্রারম্ভিকতায় [আপনার জানা উচিত] “মানুষ” যদি সৃষ্টিগত (বিবর্তিত’ভাবে) একটি Super Computer হয় তবে মানুষের Brain হলো সেই সুপার কম্পিউটারের একটি জীবন্ত জৈবিক CPU (Central Processing Unit); যেখানে তার মেধা ও মননশক্তি, বিচার-বিশ্লেষন সক্ষমতা, যুক্তি ও বিবেক, আবেগ-উত্তেজনা, কল্পনা ও স্বপ্ন তদুপরি সামগ্রিক যাবতীয় মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলি সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত হয়। মূলত এই Brain হতেই যাবতীয় সিগন্যাল নির্দেশক স্বরূপ Command আকারে আমাদের শরীরে ফিজিক্যালি প্রেরিত হয়; পক্ষান্তরে আমাদের শারীরিক ইন্দ্রিয় হতেও বিভিন্ন বাহ্যিক সিগন্যাল ব্রেইনে পৌছে Analysed হয় – সুতরাং বলা যায় যে হিউম্যান ব্রেইন একইসাথে Dispatcher (প্রেরণকারী) এবং Recipient (গ্রহণকারী) Biological Device হিসেবে কাজ করে। আমরা প্রতিনিয়ত যেসকল কাজকর্ম করি, মনে মনে চিন্তা-ভাবনা করি কিংবা কল্পনার মাঝে আপন সংকল্প সাজাই; সেই সমস্তকিছুই কিন্তু আদতে আমাদের Brain এক্টিভিটির বহিঃপ্রকাশ মাত্র! ভোরবেলা ঘুম হতে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমানো অবধি এমনকি ঘুমের ভেতর স্বপ্ন দেখা পর্যন্ত- সবকিছুই আমাদের Brain কর্তৃক স্বতস্ফূর্তভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এক কথায় বলা চলে “আমাদের গোটা জীবনটাই আসলে Brain কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এক জীবন্ত জৈবিক প্রোগ্রামিং সিস্টেম মাত্র!” মূলত মানব মনের বিভিন্ন ইচ্ছা (Wish) ও স্বপ্ন (Dream তথা Goal) হলো মানব মস্তিষ্কের কনশিয়াস মাইন্ড (সচেতন মন) এবং সাব-কনশিয়াস মাইন্ড (অবচেতন মন) এর জটিল সাইকোলজিক্যাল মিথস্ক্রিয়া। মানুষ চাইলেই যুক্তি (Logic) এর মাধ্যমে তার কনশিয়াস মাইন্ড’কে পরিচালিত করতে পারে; অপরদিকে বিশ্বাস (Belief/Faith), আবেগ-অনুভূতি (Emotion) এবং সাজেশন (Hypnosis এর ভাষায় এটাকে Command নামেও অভিহিত করা হয়) এর মাধ্যমে সাব-কনশিয়াস মাইন্ড’কে আপাত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব; সুতরাং আপনি যদি আপনার Brain কে সঠিকভাবে Psychologically আপনার Wish/Dream অনুযায়ী Programmatically পরিচালিত করতে পারেন তবে অবশ্যই আপনি আপনার লাইফের সকল Deserved আশা-প্রত্যাশা-ইচ্ছা-স্বপ্ন এবং সংকল্প সফলভাবে পূরণ করতে সক্ষম হবেন”।

Definite Your Dream

সবার আগে আপনাকে আপনার মনের ইচ্ছা ও স্বপ্নগুলোকে স্পষ্টভাবে Definite (সুনির্দিষ্ট) করতে হবে [সচরাচর আমাদের মনের নিত্য Wishes/Dreams সমূহ সময়-পরিস্থিতি ও পরিবেশের স্বাপেক্ষে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয় তাই এমতাবস্থায় আমাদের Brain কখনোই একটি নির্দিষ্ট কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণে পরিপূর্ণভাবে Focused এবং Concentrated হতে পারে না, সুতরাং সর্বাগ্রে আমাদের মনের Dream-কে Definite করা কর্তব্য]।

Method

Let’s Find A Way…আপনি আপনার মনের সকল আশা-প্রত্যাশা-ইচ্ছা-স্বপ্ন-সংকল্প প্রভৃতি একটি সাদা কাগজে লিখে ফেলুন [এমনভাবে লিখবেন যেন আপনি আপনার মনের সকল প্রকাশিত/লুক্কায়িত উইশ’সমূহ উক্ত লেখনীর মাধ্যমে উগড়ে দিচ্ছেন- যার ফলে আপনি নিজেকে মানসিকভাবে হালকা অনুভব করবেন এবং এক প্রকার সূক্ষ সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশন ফিল হবে] >>> এবার উক্ত সকল Draft উইশ’সমূহের মাঝে একটি সেতুবন্ধন (Bridge) তৈরী করুন এবং আপনি আপনার Root Dream-টি নির্বাচন করুন [অসংখ্য Wishes-কে Bridge এর মাধ্যমে মেলবন্ধন ঘটিয়ে কেবলমাত্র একটি Root Dream নির্বাচন করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবেন যে (১) এমন উইশ/স্বপ্ন বাছাই করতে হবে যেটা পূরণ হলে অন্যান্য আর সকল উইশ’সমূহ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যেন পূরণ হয়ে যায় (২) অসংখ্য উইশ’সমূহের মাঝে আপনাকে একটু Hardly নিজের ইমোশনকে উপেক্ষা করে Realistic স্বপ্ন’গুলোকে অধিক প্রায়োরিটি দিতে হবে; তবে এটার মানে সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের তীব্র আকাঙ্খা’কে মোটেই Neglect করা নয় বরং সাব-কনশিয়াস মাইন্ড ও কনশিয়াস মাইন্ডের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমেই আপনি আপনার কাঙ্খিত স্বপ্ন’কে সুনির্দিষ্ট করবেন। মনে রাখবেন আপনার জীবনের স্বপ্ন পূরণে সফলতা আনায়নে ঐ সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের গুরুত্ব’ই কিন্তু সর্বাধিক (৩) সর্বোপরি মানব মনের বিচিত্র সকল ইচ্ছা’সমূহের মাঝে সেই Wish/Dream-টি নির্বাচন করবেন যা আপনার সামগ্রিক জীবনের জন্য অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে] >>> Root Dream নির্বাচনের পর আপনি আত্ম-জিজ্ঞাসার মাধ্যমে নিজেই নিজের আত্নমূল্যায়ন করুন:- আপনি আপনার সিলেক্টেড Root Dream টি নিয়ে মানসিকভাবে সম্পূর্ণ Satisfied কিনা? আপনার মনের মাঝে নূন্যতম কোনরূপ Hesitation অনুভব করছেন না তো? যদি Satisfaction অনুভব না করেন অথবা সামান্যতম Hesitation ফিল করেন তবে আবারও পূর্বোক্ত Contemplation ধারায় ফিরে যান এবং উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী আরও অধিক শুদ্ধরূপে আপনার Root Drem টি Definite করুন [বলা বাহুল্য যে আপনার Root Dream টি এমন হতে হবে যেন তাতে আপনার মনে নূন্যতম সংশয় বা সন্দিগ্ধতা না থাকে বরং স্বাধীনভাবে নিজের অবচেতন মনের তাড়নায় সচেতনভাবে বাস্তবতার স্বাপেক্ষে সন্তুষ্ঠচিত্তে গৃহিত “স্বপ্ন” যা আপনার সংকল্পকে দৃঢ়তার সহিত সফলতায় অবতীর্ণ হওয়ার প্রয়াস পাবে]।

Dream Management

আপনার Definite হওয়া Root Dream টি Successful করার জন্য আপনার কনশিয়াস মাইন্ডের সাহায্যে Dream Management করতে হবে; আসুন সবার আগে সর্ব প্রকার স্বপ্ন পূরণ সফল হয় এমন একটি সার্বজনীন Dream Diagram তৈরী করি…

Dream Diagram

সর্বাগ্রে আপনার অবস্থা-অবস্থান, পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং পারিপার্শ্বিকতার স্বাপেক্ষে আপনার Root Dream-টি সফল করতে সম্ভাব্য সকল পন্থাগুলো ধীর-স্থিরচিত্তে আপন মনে ভেবে নিন; এই কাজটা আপনার বুদ্ধিমত্তা তথা Intelligence Power ব্যবহার করে করতে হবে >>> এবার আপনার আবিষ্কার করা পন্থাগুলো ধাপে ধাপে সাজিয়ে একটি Master Sequence তৈরী করুন [Master Sequence হলো এমন একটি কর্ম পরিকল্পনা যেখানে আপনার স্বপ্ন’কে সফলতায় রূপ দিতে আপনি সর্বোচ্চ সম্ভাব্য সকল প্রকারের প্ল্যানিং (নীল নকশা) আঁকবেন; যেখানে একটি প্ল্যান ব্যর্থ হলে আপনি পূর্ব হতেই এক বা একাধিক Backup প্ল্যান তৈরী করে রাখবেন; তদুপরি আপনার স্বপ্ন পূরণে যতোক্ষণ না অবধি আপনি সফল হচ্ছেন ততোক্ষন পর্যন্ত পূর্বের Failed হওয়া প্ল্যান হতে প্রাপ্ত Knowledge, Wit, Dexterity, Trick এবং Experience নতুন Backup প্ল্যানে Apply করে আরও উৎকর্ষপূর্ণ প্ল্যান Re-Build করবেন] >>> Master Sequence অনুযায়ী Root Dream পূরণে আপনি যেসকল পদক্ষেপ নিবেন তাতে আপনাকে সর্বদাই Calculative হতে হবে যেমন গাণিতিক নিয়ম (Mathematic Law) অনুযায়ী সবসময়’ই 3+6=9 হয় তেমনি আপনাকেও কনশিয়াস মাইন্ড-এ সচেতন চিত্তে সতর্কতার সহিত যুক্তিবাদী মানসিকতা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। যেকোন ঘটনা/ব্যাপার’কে সর্বদাই “কি?” , “কেন?” এবং “কিভাবে?” দ্বারা জিজ্ঞাসিত করবেন তাহলে খুব সহজেই আপনি Master Sequence এপ্লাই করার ক্ষেত্র বা প্রেক্ষাপট তৈরী করতে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত (Information & Data) পেয়ে যাবেন।

Moral Lesson

জীবনের লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণে সফলতা লাভ করতে নিম্নোক্ত নৈতিক শিক্ষা তথা Moral Lesson এর ব্যবহার সুনিশ্চিত করুন:-

(১) পজেটিভ হউন [স্বপ্ন পূরণে আপনাকে সর্বদাই Positive Minded হতে হবে। হয়তো অনেক সময় মনের মাঝে বিভিন্ন নেগেটিভ ইনটেনশনের উদয় হবে সেইসব আপনাকে দৃঢ়ভাবে ইগনোর করতে হবে]।

(২) আত্মবিশ্বাসী হউন [আপনার মন’কে বিশ্বাস করাতে হবে যে “অবশ্যই আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে Capable” তাতে হয়তো অনেক সময় আপনার কনশিয়াস মাইন্ড আপনাকে বাস্তবতার স্বাপেক্ষে যুক্তি-তর্কে নিস্প্রভ করার চেষ্টা করবে কিন্তু আপনি আপনার সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে প্রতিনিয়ত নিজেকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করবেন]।

(৩) আশাবাদী হউন [আপনার স্বপ্ন পূরণে নিজেকে আশাবাদী করুন; “আশাহত প্রাণ মৃত্যুর সমান” তাই কখনোই আশাহত হয়ে হাল ছেড়ে দিবেন না]

(৪) বুদ্ধির ব্যবহার করুন [আপনার মস্তিষ্কে যে জ্ঞান তথা Knowledge আছে সেটাকে বুদ্ধি’তে অর্থাৎ Intelligence-এ কনভার্ট করুন। মনে রাখবেন “আপনার সামনে যতোই সমস্যা আসুক না কেন সেই সমস্যাটিকে সুযোগ তথা Chance হিসেবে বিবেচনা করে বুদ্ধির মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করবেন]।

(৫) ধৈর্য ধারণ করুন [স্বপ্ন পূরণে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে। হয়তো আপনার মনে হবে ধৈর্য মনে শুধুই সময়ের অপচয় কিন্তু সত্যিকার অর্থে “ধৈর্য হলো সময়ের সাথে পরিস্থিতির পরিবর্তনে নিজের অবস্থান পরিবর্তনের প্রচেষ্টা মাত্র”]।

(৬) অধ্যবসায়ী হউন [স্বপ্ন পূরণে নিজেকে একাগ্র এবং নিষ্ঠাবান করে গড়ে তুলুন। সর্বদাই প্রতিটি ক্ষণ স্বপ্ন পূরণে Focused এবং Concentrated থাকুন]।

(৭) No Tension Do Thinking [দুঃশ্চিন্তা কখনোই আপনার স্বপ্ন পূরণে সহায়ক কিংবা সমস্যার সমাধান এনে দিতে পারে না; অপরাপর মস্তিষ্কও যেহেতু কখনো চিন্তাশূন্য থাকতে পারে না তাই টেনশন বা দুঃশ্চিন্তার পরিবর্তে সর্বদা স্বপ্ন পূরণে পজেটিভ মাইন্ডে Thinking করুন]।

(৮) এক্সট্রিম হউন [আপন স্বপ্ন পূরণে যদি প্রয়োজন হয় তবে আপনাকে তীব্র যন্ত্রণাও হাসিমুখে সহ্য করতে হবে। আপনার মনে জমে থাকা যাবতীয় রাগ-ক্ষোভ-অহংকার-লজ্জা-ঘৃণা-ভয়-সংকোচ প্রভৃতি দূর করে নিজেকে কঠিন এবং কঠোর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে]।

Meditation

জীবনের লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণের সফলতায় আপনার সাবকনশিয়াস মাইন্ডের সঠিক ব্যবহার সুনিশ্চিত করা কর্তব্য – তথায় Mediation হতে পারে অনন্য একটি উপায়। বিভিন্ন Meditation এর বিভিন্ন প্রক্রিয়া এবং ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকলেও বস্তুত ক্রিয়ামূল একই “আপন মন’কে কেন্দ্রীভূত করে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সফলতার তরে সন্নিবিষ্ট করা যেন সর্বোচ্চ সাইকোলজিক্যাল ইফিসিয়েন্সি গেইন করা সম্ভব হয়”।

আপনি প্রত্যহ একটি নির্দিষ্ট সময় [যেমন প্রতিদিন ঘুম হতে ওঠার পর বা সন্ধ্যার সময় – এমন স্পেসিফিক টাইম] আপনি মেডিটেশানের জন্য বেছে নিন >>> আপনার সম্পূর্ণ শরীর’কে নির্ভার করে আরাম করে বসুন [যোগাসন হতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই তথাপি আপনার শারীরিক অবস্থান যেন এমন হয় তাতে সর্বোচ্চ কমফোর্ট ফিল করতে পারেন] >>> এখন চোখ বন্ধ করে নাক দিয়ে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে প্রশ্বাস ছাড়ুন >>> আপনার মন হতে যাবতীয় নেগেটিভ চেতনা দূর করে আপনার জীবনের লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণে এমনভাবে ফোকাস ও কনসানট্রেট হউন যেন “আপনার লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণের পরিকল্পনার ধাপগুলি আপন মনে অবচেতনভাবে প্র্যাকটিস করছেন এবং সফলতার তরে সুখানুভূতি লাভ করছেন”।

Good Luck

জীবনের লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণে সময়ের স্বাপেক্ষে ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীলতায় সৌভাগ্য অর্জন করার প্রক্রিয়া জেনে নিন:-

মানবজীবনে ভাগ্য (Fortune) বিষয়টি মূলত জীবন প্রবাহের’ই আপাত অনির্দিষ্ট ফলাফল; যেহেতু ভাগ্য বিষয়টি ব্যক্তিবিশেষে বিশ্বাস/অবিশ্বাস এর ওপর নির্ভরশীল তাই এটার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া দায়! মূলত ধর্ম বিশ্বাস, যুক্তিবাদ, বাস্তব অভিজ্ঞতা কিংবা নিখাঁদ অজ্ঞতা বা কুসংস্কার- এই ভাগ্য’তে বিশ্বাস অথবা অবিশ্বাস এর মূল কারণ। অনেকে আবার মনে করেন যে ভাগ্য হলো মূলত ব্যক্তির কর্মফল মাত্র; তবে এটার পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি-উদাহরণে আবার বিস্তর তর্ক-বিতর্ক করা যেতে পারে!

আসুন তর্ক-বিতর্ক ব্যতিরেকে সাইকোলজিক্যালি ভাগ্যের গুরুত্ব ও তাৎপর্যে আলোকপাত করি…

ধরুন আপনি ‘ভাগ্যে বিশ্বাসী’ সেক্ষেত্রে আপনার জীবনে যদি অনিয়ন্ত্রিতভাবে কোন দূর্ঘটনা ঘটে সেটার দায় ভাগ্যের ওপর চাপিয়ে আপনি মানসিক স্বান্তনা পেতেই পারেন; আবার আপনি যদি ‘ভাগ্যে অবিশ্বাসী’ হউন তাহলে দূর্ঘটনার পেছনের কারণ অনুসন্ধানে আপনি যুক্তির মাধ্যমে নিজের ভুল/ত্রুটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন। ১ম ক্ষেত্রে আপনি আত্ম-স্বান্তনাতে সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশন পাওয়ায় বাস্তবতা মেনে নিয়ে মানসিক স্বস্তি লাভে সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার প্রেষণা পাবেন। ২য় ক্ষেত্রে আপনি লজিক এর মাধ্যমে বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করার প্রচেষ্টা চালাবেন যা আপনাকে সম্মুখে আরও সচেতন ও সক্রিয় করে গড়ে তুলবে।

উপরোক্ত উভয় ক্ষেত্রেই পজেটিভ দিক যেমন পাবেন তেমনি নেগেটিভ দিক’ও বিদ্যমান; সুতরাং “আপনি ভাগ্যে অবিশ্বাসী হবেন না আবার স্রেফ ভাগ্যের ওপরেই পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে নিশ্চল-নির্ভারতায় নিস্ক্রিয় হয়ে রইবেন না”। যদিও উপদেশটি আপাত দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে তবুও জেনে রাখুন এটাই আপনার মন-মস্তিষ্কের জন্য সর্বাধিক ইফেক্টিভ [সার্বজনীনতা বিবেচনায়]।

চলুন আমরা সাইকোলজিক্যালি সৌভাগ্যবান হওয়ার চেষ্টা করি…

Lucky Law [ভাগ্যের সূত্র]

Luck = Your Conscious Mind’s Activities + Your Subconscious Mind’s Statement

এখন যদি প্রায়োগিক দৃষ্টিকোণ হতে এনালাইসিস করি তাহলে সাইকোলজিক্যালি সৌভাগ্য অর্জনের ব্যাখ্যা এমন হতে পারে:-

Fortune [সৌভাগ্য] = Appropriate Time [এমন সময় যেটা আপনার একটি নির্দিষ্ট Dream/Wish পূরণে পরিবেশ-পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতার স্বাপেক্ষে সর্বাপেক্ষা যথোপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হয়; যদিও সময় পরিক্রমায় বর্তমানের স্বাপেক্ষে ভবিষ্যৎ পূর্ব হতেই শতভাগ সুনিশ্চিত করা সম্ভব নয় তথাপি কনশিয়াস মাইন্ডের Logic দ্বারা পর্যালোচনার মাধ্যমে একটি উন্নত Hypothesis এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে] + Appropriate Step [Appropriate Time-এ আপনাকে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে সেক্ষেত্রে আপনার সাব-কনশিয়াস মাইন্ড’কে দ্বিধাহীন ও সংকোচ মুক্ত, সাহসী এবং তীব্র আশাবাদী করে গড়ে তুলতে হবে। কোন পরিস্থিতিতে কেমন Behaviour এবং Attitude হতে হবে সেই বিষয়েও Aware থাকতে হবে। সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার Substantive Movement যা আপনার Wish/Dream অনুযায়ী পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতার স্বাপেক্ষে সর্বাধিক উপযুক্ত হওয়া উচিত। অপরাপর সুযোগের সদ্ব্যবহার বলতে আপনাকে সব সময় এমনভাবে Active থাকতে হবে যেন প্রতিটি ক্ষণ আপনি পরিস্থিতির স্বাপেক্ষে পারিপার্শ্বিকতা হতে Scope তৈরী করতে প্রয়াসী থাকবেন] + Never Give Up [ হয়তো এমন হতে পারে যে বারবার আপনার Dream/Wish পূরণের দ্বারপ্রান্তে এসেও আপনি ব্যর্থ হচ্ছেন- সেক্ষেত্রেও কখনো হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না; একটানা আপনাকে লেগে থাকতেই হবে….আপনি ততোক্ষণ অবধি চেষ্টা করবেন যতোক্ষণ না পর্যন্ত সফলতা লাভ করতে পারছেন। আপনার সাব-কনশিয়াস মাইন্ডকে এমনভাবে Train Up করাতে হবে যেন আপনি ধৈর্য ও নিষ্ঠার সহিত পূর্ণভাবে একাগ্রতায় অবগাহন করতে সফল হউন]।

[বিঃদ্রঃ এখানে Metaphorically “সৌভাগ্য অর্জন” করতে বলা হয়েছে “সৌভাগ্য লাভ” করা’কে বোঝানো হয়নি]।

Time Psychology

জীবনের লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণে Time এর সাথে Human Psychology অঙ্গাঅঙ্গি’ভাবে জড়িত; যদিওবা অন্তর্হিত সুপ্ত তাৎপর্যবাহীতার দরূণ আমাদের মস্তিষ্ক (Brain) সিংহভাহ সময়ে Time Portion উহ্য রাখে; একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি খুব সহজেই বোঝানো যেতে পারে “ধরুন আপনি একটি আপেল খাওয়ায় জন্য ছুড়ি দিয়ে ফল’টি কাঁটতে গিয়ে অসাবধানতা বশত হঠাৎ আপনার আঙ্গুল কেটে ফেললেন” তখন “আপনার আঙ্গুল কেটে যাওয়া” ইস্যু নিয়েই আপনি সহজাত বিচলিত রইবেন; তথাপি ঠিক “কোন সময়” – এ আঙ্গুল কাটলো সেটা কিন্তু Specification করবেন না [বস্তুত ঐ মুহূর্তে Time Specification করাটা অগুরুত্বপূর্ণ বিধায় Human Brain সেটা Implied করেছে]।

আবার বিপরীতভাবে আমাদের মস্তিষ্ক Time Specification বিষয়টিকে ক্ষেত্রবিশেষে স্পেশাল প্রায়োরিটি প্রদান করেও থাকে – যেমন উদাহরণস্বরূপ “কোন আনন্দ বা খুশীর মুহূর্তের স্মৃতিচারণে আমাদের মনে ঐ সময়-কাল গেঁথে থাকে/প্রয়াত প্রণয়ে পূর্বের রোমান্টিক রোমাঞ্চকর স্মৃতির সময়কাল/বিশেষ ঘটনার সময়কাল ইত্যাদি” তদুপরি এমনটা হয়তো অনেক সময় অনেকের মনে হতে পারে যে “ঠিক এই সময় বা মুহূর্ত’টি হয়তো আপনার জীবনে ইতিপূর্বেও কখনো এসেছিলো” যাকে “দেজা-ভ্যু” নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে!

কট্টর পদার্থ বিজ্ঞান তথা ক্লাসিক্যাল মেকানিক্সে Time বা সময় হলো একটি মাত্রা (Dimension) মাত্র; যেমন একখানা আস্ত ইটের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা এই তিনটি মাত্রা (Dimension) বিদ্যমান – তেমনি কোন মুহূর্তে ইট’টি কেমন অবস্থা-অবস্থান ও প্রকৃতিতে বিরাজমান সেটার নির্দেশক মাপকাঠি হলো “সময়”।

Time বা সময় নামক মাত্রা (Dimension) এর সহিত Human Psychology এর সম্পর্ক নির্ধারণে আমরা Time Psychology এর অবতারণা করবো [সম্পর্ক-সমীকরণ নির্ধারণের পূর্বে আমরা কিছু বিষয়ে সাম্যক আলোকপাত করি (১) হাসি-আনন্দ বা সুখ-খুশীর সময় যেন দ্রুত চলে যায় বা ফুরিয়ে যায় [আপাতভাবে সময়ের অপেক্ষাকৃত ত্বরিত দ্রুতি মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে আপেক্ষিকভাবে সময়ের মান সুনির্ধারিত] (২) কষ্টের সময়গুলো কেমন যেন ভারী অনুভব হয় [বিষণ্ণতার দরূণ] (৩) সময় চলমান – তাকে আটকে রাখা বা সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব নয় এবং স্বাভাবিক’ভাবেই সময় যাত্রা হয় বর্তমান হতে সম্মুখ ভবিষ্যতের দিকে (৪) পরমভাবে সময়ের বর্তমান বলে কিছু নেই বরং অতীত এবং ভবিষ্যত’ই অপেক্ষাকৃত অধিক সত্য [আপেক্ষিকতায় উপলব্ধি]।

সময়ের সহিত Human Psychology এর সম্পর্কের স্বরূপ হলো “সময় প্রবাহ স্বাপেক্ষে ইমোশন এর তীব্রতা ব্যস্তানুপাতিক” অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ে ইমোশন যতোটা তীব্র থাকবে সময়ের পরিক্রমায় Brain সেটার তীব্রতার মাত্রা ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলবে [তদুপরি স্মৃতি আকারে উক্ত ইমোশনের ডাটা মস্তিষ্কে জমা থাকতে পারে এবং Certain Time – এ উহা জাগ্রত ও সক্রিয় হওয়া নিতান্তপক্ষে অসম্ভব নয়]; তাইতো উদাহরণস্বরূপ কেউ যদি কোন ঘটনা স্বাপেক্ষে উত্তেজিত হয়ে তাৎক্ষণিক আত্মহনন করতে উদ্ধত হয় তবে কিছু সময়ের অবসরে হয়তো তার মানসিকতা আপনা-আপনি পরিবর্তিত (স্থির ও শান্ত) হতে পারে; তথাপি স্থায়ীভাবে ঐ কুচিন্তা মোচনে উপযুক্ত সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলিং আবশ্যক!

যদিওবা Time Psychology – এ “সময়ের সহিত ইমোশনের তীব্রতা ব্যস্তানুপাতিক” [সম্ভবত সুষম ব্যস্তানুপাতিক নয়] তথাপি “সময়ের সাথে সাথে ক্ষোভ সমানুপাতিক” [সম্ভাবত সুষম নয়] যেমন উদাহরণস্বরূপ কোন ব্যক্তির ওপর আপনার রাগ বা অভিমান পুষে রাখতে রাখতে সেটা এক সময় ক্ষোভে রূপ নিবে এবং এরপর চরমভাবে উহার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে।

সুতরাং আবেগী হয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং চুপচাপ অন্তর্মুখী মনের মাঝে প্রতিক্রিয়া নিশ্চুপ পুষে রাখা উভয়ই পরিহার করা শ্রেয়তর!

এছাড়াও কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি আপনি যতোটা সময় ব্যয় করবেন সেটা আপনার মস্তিষ্কে ততোটাই গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করবে এবং নিগূঢ়ভাবে আপনার ন্যাচারাল লাইফ’কে প্রভাবিত করবে।

অপরাপর আপনার নিত্য এক্টিভিটি যতোটা Fast (দ্রুত) হবে আপনার জন্য সময়ের পরিবর্তন তথা গতিশীলতা [সাইকোলজিক্যালি আপেক্ষিক পর্যবেক্ষণ মাত্র] ততোটাই পরিলক্ষিত হবে।

পরিমাপ (Measurement) যেমন গুরুত্বের বিচারে আমাদের প্রত্যাহিক জীবনের অনন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান (Element) – এ পরিণত হয়েছে তেমনি আপনি যদি আপনার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে “সময়” নামক ইউনিট’কে একাত্ম করতে সক্ষম হউন তবে সাইকোলজিক্যালি সময়ের প্রকৃতি (Nature of Time) উপলব্ধি করতে পারবেন এবং আপনার জীবনে সম্ভাবত নতুন এক মাত্রা যুক্ত হবে।

Psychological Justification

আপনার জীবনের লক্ষ্য বা স্বপ্ন পূরণে সকল উচিত ক্রিয়া কর্ম এবং উপরোল্লিখিত Task সমূহ প্রতিপালনের পরও হয়তো কোন এক অজানা কারণে আপনি সফলতা লাভ করতে সক্ষম হচ্ছেন না – এমনটা কিন্তু হতেই পারে [তাতে কোনরূপ অলৌকিকতার অভিশাপ নয় বরং আপনারই হয়তো কোনরূপ Psychological Lackings আছে, যা হয়তো আপনি আবিষ্কার করতে পারছেন না]; এরূপ পরিস্থিতিতে Psychological Justification হয়তো ইফেক্টিভ হতে পারে।

Justification Formula

আপনার কি কিছু হয়েছে? >>> কি হয়েছে সেটা কি আপনি নিজে জানেন? [আপনার অবচেতন মন জানে কি না? যা হয়তো আপনার সচেতন মন অস্বীকার করছে] >>> আপনার যা হয়েছে সেটা কি আপনার জন্য সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতা? >>> আপনার উক্ত বিষয়টি (সমস্যা) কি আপনার নিজের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে সৃষ্ট নাকি পরোক্ষভাবে উদ্ভব হয়েছে? >>> বিষয়টি (সমস্যা) কি আপনাকে সাইকোলজিক্যালি নাকি ফিজিক্যালি (শারীরিক এবং জীবনাচরণ’গত) বিপর্যস্ত করছে? >>> বিষয়টির সলিউশন হওয়া সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন [অবচেতন মনে বিশ্বাস করেন]? >>> বিষয়টির (সমস্যা) যথোপযুক্ত সলিউশান কি আপনার মন [সাব-কনশিয়াস মাইন্ড] জানে? >>> আপনার সাব-কনশিয়াস মাইন্ড হতে Emitted সলিউশান’টি আপনার আপন জীবনে ইউটিলাইজ করার পূর্ণ পরিকল্পনা কি আছে? >>> সলিউশান লাভের পরিকল্পনা’টি বাস্তবায়ন করতে ঠিক কি কি সমস্যা ফেইস করছেন বা করবেন বলে আশঙ্কা করছেন অথবা মানসিক জড়তাতে আবিষ্ট কিনা? >>> এই মুহূর্তে আপনার ঠিক যা করা উচিত বা আবশ্যক বলে মনে করছেন সেটা শুরু করুন!!!

Self Confidence

আপনি যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করেন তাহলে দেখবেন যে এই পৃথিবীর সকল ধর্ম এবং মিথ এর মূল (Root) হলো ‘বিশ্বাস’ বা Belief; মানবজীবনে ধর্মের প্রভাব তুলনামূলক তাৎপর্যপূর্ণ এবং ধার্মিক মাত্রই প্রতিটি মানুষ তার নিজ নিজ ধর্ম’কে পবিত্র [পবিত্রতা আপেক্ষিক একটি বিষয় মাত্র] এবং সত্য বলে মনে করেন; মানুষের নিকট ধর্ম যদি এতোটা তাৎপর্যপূর্ণ হয় তাহলে এবার আপনিই ভাবুন সেই ধর্মের মূল ‘বিশ্বাস’ এর গুরুত্ব কতোখানি? শুধু ধর্মীয় কালচার নয় বরং ব্যক্তিগত,পারিবারিক,সামাজিক তদুপরি মানবজীবনের প্রতিটি প্রেক্ষাপটেই এই ‘বিশ্বাস’ এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য্য সর্বাধিক; এটা হয়তো বলা বাহুল্য হবে না যে “যদি মানব সমাজে পরস্পর বিশ্বাসবোধ না থাকতো তবে মানবজাতি হয়তো আপনা আপনিই নিঃশেষিত হয়ে যেতো”।

আপেক্ষিকভাবে বিশ্বাস বা Belief এর অবস্থান আমাদের সাব-কনশিয়াস মাইন্ডে তাই একবার যদি ‘বিশ্বাস’ এর জায়গাটিতে অধিগ্রহণ করা যায় তবে যে কারোর Mind Access করা সম্ভব ফলশ্রুতিতে তার গোটা লাইফটাকেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভবপর! অপরাপর শুধুমাত্র বিশ্বাস তথা আত্মবিশ্বাসের জোরেই মনস্তাত্ত্বিকভাবে বহু অসাধ্য সাধন করা সম্ভব [আপেক্ষিক এবং রূপক]!

ধরুন আপনাকে একটি চ্যালেঞ্জ দেওয়া হলো যে ২১ তলা উচু কোন বিল্ডিং এর ছাদের কিনারা ধরে হাটতে হবে, যেখানে সামান্য একটু এদিক-সেদিক হলেই ছাদ থেকে পড়ে আপনার মৃত্যু অনিবার্য। আপনি কি তখন স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারবেন? নিশ্চয়ই না!!! এবার যদি বলা হয় ২১ তলা ছাদের নিচেই একটি সুপ্রশস্থ সেইফটি কার্নিশ রয়েছে তাহলে নিশ্চয়ই তখন আর আপনার হাটতে ভয় লাগবে না, তাইনা!? এখানে উচ্চতা কিন্তু ঠিকই আছে,আপনার স্কিলটাও অপরিবর্তিত শুধুমাত্র একটা সেইফটি কার্নিশের ওপর বিশ্বাস রাখায় আপনি সফলভাবে চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে পারছেন!

সুতরাং আপনাকে আপনার মন’কে বিশ্বাস করাতে হবে যে “অবশ্যই আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম”!

Failure Solution

বস্তুত আমরা যখন কোন লক্ষ্যে সফল না হই – তখন ঐ লক্ষ্যের প্রতি একরূপ সুপ্ত ক্ষোভ তথা নেগেটিভ সাইকোলজিক্যাল ইনআরশিয়া তৈরী হয় – এই নেগেটিভ সাইকোলজিক্যাল ইনআরশিয়া এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে আমাদের নিত্য চিন্তা চেতনায় হতাশা – ফ্রাস্ট্রেশন এবং ডিপ্রেশন স্বরূপে তথাপি এমন ব্যর্থতার সর্বোচ্চ অবস্থানে ব্যক্তির কনশিয়াস এবং সাবকনশিয়াসের মধ্যকার ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ায় জীবন দূর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে।

ব্যর্থতা হতে মুক্তি লাভ করার উপায়!

আপনি যদি ব্যর্থতার দুষ্ট গোলকধাঁধা হতে মুক্তি পেতে চান তবে সর্বাগ্রে আপনার মেন্টালিটি তথা মানসিকতার পরিবর্তন [ডেভেলপমেন্ট] করতে হবে; এই মানসিকতার উন্নয়নে এমনভাবে ভাবুন যেন “যেকোন বিষয়ে একদম শুরুতেই সফলতা লাভ আহামরি কোন ফ্যাক্ট নয় – বরং আপনি যে বারবার হারছেন এবং সেই হারের শিক্ষা নিয়ে সম্মুখে আরও উৎকৃষ্ট প্রচেষ্টায় প্রয়াসী হচ্ছেন এটাই গর্ব করার মতো বিষয় বটে”] >>> ইতিপূর্বে আপনি যখন – যেমন আর যেভাবে ব্যর্থ হয়েছেন সেইসব ঘটনাগুলি নিজে নিজে বিশ্লেষণ করুন এবং “কেন ব্যর্থ হতে হয়েছে” তার কারণসমূহ খুঁজে বের করুন; এখন ঐ কারণগুলো যথাযথভাবে যুক্তির মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহনে কার্যত ইউটিলাইজেশন সুনিশ্চিত করুন [কনশিয়াস কন্ডিশন] >>> সর্বোপরি আপনাকে সর্বদাই ” হেরে গেলেও হার না মানার মানসিকতা” পোষণ করতে হবে – তাতে আপনার সাবকনশিয়াসের অবচেতন ফাংশনাল এক্টিভিটি যেন ইচ্ছাশক্তির জাগরণে আপনাকে অনুপ্রাণিত করার অবকাশ লাভ করে [সাবকনশিয়াস কন্ডিশন]

সর্বোপরি ব্যর্থতা আছে বলেই হয়তো সফলতায় এতো আনন্দ আর তাতে কতো সুখ – তাই ব্যর্থ হলে মন খারাপ করে গোমড়ামুখে থাকার কোন কারন নেই [অন্তত মন খারাপ করে হতাশ হওয়ায় কোন সমাধান মিলবে না]; তদুপরি সাবকনশিয়াস মাইন্ডের আপন ইচ্ছাশক্তির স্পার্কে জ্বলে উঠে সাইকোলজিক্যাল স্ট্যামিনায় প্রাপ্ত মোমেন্টাম’কে কনশিয়াস মাইন্ডের যুক্তি দ্বারা তরান্বিত করতে পারলেই সফলতা আপনার পায়ে চুমি দিতে বাধ্য!

Conclusion

“আপনি” এবং “একজন সফল মানুষ” এর মাঝে পার্থক্য হলো কেবলি চিন্তা-চেতনা এবং এক্টিভিটি; সুতরাং আপনি যদি আপনার সেল্ফ ডেভেলপমেন্ট সুনিশ্চিত করতে পারেন তবে অবশ্যই সফল হতে পারবেন [এটা কোন উপদেশ নয় বরং এটাই প্রকৃত সত্য]।

ফেসবুকে আমন্ত্রণ রইলো:- Humayun Shariar Himu

আপনার সফলতার তরে শুভেচ্ছা রইলো

Shares:
Leave a Reply