বিপত্তির কারণ ভুয়া ফোনকল

বিপত্তির কারণ ভুয়া ফোনকল

টেকলাইফ

সাদি সাবেরিন

2025-01-12

যদি নিজের স্মার্টফোনে এখনও ‘ট্রু কলার’ না থাকে, তাহলে নিরাপত্তার প্রয়োজনে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে অ্যাপটি ইনস্টল করতে হবে।
নিজের ব্যবহৃত ফোনে ভুয়া ফোনকল বা মেসেজ প্রবেশ করলে চিহ্নিত নম্বরটি দ্রুত ব্লক করার সঙ্গে রিপোর্ট করতে হবে। নম্বরটি শুধু ব্লক করে দিলে নিজের কাছে হয়তো ওই নম্বর থেকে সরাসরি ফোন আসা বন্ধ হবে, কিন্তু চারপাশের বহু মানুষের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থেকে যায়।
আজকাল কমবেশি সবার ফোনেই ‘ট্রু কলার’ ইনস্টল থাকে। যাতে নম্বরটি কোথা থেকে আসছে, তা বুঝতে খুব বেশি অসুবিধা না হয়। যদি ‘ট্রু কলার’ না থাকে, তাহলে গুগল প্লে স্টোর থেকে তা ইনস্টল করে নেওয়াই শ্রেয়।
শনাক্ত ভুয়া ফোনকে ট্রু কলারের মাধ্যমে রিপোর্ট করার উদ্যোগ নিতে হবে। নম্বরটি তা হলে ‘স্ক্যাম কল’ হিসেবেই সবার কাছে চিহ্নিত হবে। অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেজ থেকেও ফোন নম্বরটি ভুয়া কিনা, তা যথাযথভাবে রিপোর্ট করা যায়।
প্রতারকের কাছ থেকে আসা কোনো ফোনকল যদি তুলে ফেলেন বা কোনো মেসেজের লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলেন, তাহলে সবার আগে নিজের ব্যাংক ও অন্য সব অ্যাকাউন্টে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা, তা দ্রুত যাচাই করে নিন। প্রতারক চক্র ফোনকল বা মেসেজের মাধ্যমে অনেক সময় ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে দেয়। তাই নিজের ফোনে কেউ অযাচিত নজরদারি করছে কিনা বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা ব্যবহৃত মোবাইল ফিন্যান্স সার্ভিসে (এমএফএস) কোনো সন্দেহজনক কিছু ঘটছে কিনা, তা আগে বিশেষভাবে যাচাই করে নিতে হবে। সন্দেহ বেশি হলে বা প্রয়োজনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন।
যদি অজানা নম্বর থেকে ক্রমাগত ফোনকল বা মেসেজ দৃশ্যমান হয় বা বিশেষ উদ্দেশ্যের কথা বলে কোনো ওটিপি প্রেরণ করা হয়, তা হলে আগে ফোনের লকস্ক্রিন ও বাকি সবকটি অ্যাপ পাসওয়ার্ড দ্রুত বদলে নিতে হবে। জিমেইল বা হোয়াটসঅ্যাপে এমন ওটিপি বা সন্দেহজনক লিঙ্ক আসতে পারে। তাই নিরাপত্তার প্রয়োজনে নিরাপদ ও পরীক্ষিত কোনো অ্যান্টিভাইরাস ডাউনলোড করে ফোন স্ক্যান করে নিতে হবে। আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত এমন সবকটি অ্যাপে নতুন পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
 

© Samakal
Shares:
Leave a Reply