আসসালামুয়ালাইকুম । প্রিয় trickbd বাসী আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সাথে কিছু আলোচনা করব। গত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের কাছে এই কথাটি খুবই শোনা যায় যে মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খেলে নাকি মিষ্টির যে ক্ষতিটা হয় সেটা অনেকটাই কমে যায়। এই কথাটা কি আসলেই সত্য তা আজকে আপনাদের বিস্তারিত বলবো। তো সম্পূর্ণ বিষয়টি জানতে সাথেই থাকুন। আর যদি পোস্টটি সংক্ষিপ্ত আকারে পড়ে নিতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন। আর কথা না বাড়িয়ে মূল কথাই আসা যাক।
এই পৃথিবীতে খাবার পরে মিষ্টি না হলে খাওয়াটা ঠিক জমে না এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। আর মিষ্টি পছন্দ করে না এমন মানুষের সংখ্যা ও কম নয়। কিন্তু পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষই আছে। অনেকেই খাওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু খেতে পারেনা আবার অনেকের খাওয়ার সুযোগ আছে কিন্তু ইচ্ছা থাকে না। আবার অনেকেই আছেন যারা মিষ্টি কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে পানি খাওয়ার জন্য একেবারে কাতর হয়ে পড়েন। আসলে মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এখন অনেকেরই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে এই অভ্যাসটা কি আসলেই ভালো? কারণ বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে দাবি করছেন যে মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খাওয়ার অভ্যাসটা নাকি অনেক ভালো। কারণ আমরা সবাই জানি যে মিষ্টি খেলে শরীরে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই কিছু লোক মনে করেন যে মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খেলে শরীরে মিষ্টি যে ক্ষতিটা হওয়ার কথা সেটা নাকি অনেকখানি কমে যায়। এই কথাটি শুনে অনেকেই উৎসাহিত হয়ে মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খাওয়া শুরু করেছেন। আবার অনেকেরই প্রশ্ন যে মিষ্টি খাওয়ার পরে শুধু পানি খেয়েই মিষ্টির ক্ষতি কমে যাবে?
এখন, পানি খাওয়ার এই দাবিটি কতটা যৌক্তিক সেটার একটা বিশ্লেষণ দিয়েছেন ভারতের একজন পুষ্টিবিদ মিনু বালাজি। তার মন্তব্য এটাই যে “ মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খেলে তা শরীরের সুগারের ক্ষতিটা কমিয়ে দিতে কোন সাহায্য করে না। তবে শরীরে অন্যভাবে সাহায্য করে থাকে।”
তাহলে মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়?
১. শর্করার মাত্রা
মিষ্টি যেহেতু চিনি জাতীয় খাবার তাই এটি খাওয়ার ফলে দেহে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ করেই বেড়ে যাই। আর দেহে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়াকে বলে ‘ সুগার স্পাইক’ । আর এটা যে শুধু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যই ক্ষতিকর তা নয় বরং সুস্থ মানুষের জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভারতের ওই পুষ্টবিদ মিনু বালাজি বলেছেন, “ শরীরের পানি কম থাকলে সুগার স্পাইক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর শরীরে পানি মাত্রা যথাযথ থাকলে সুগার স্পাইক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।”
২. হজম
গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন যে পানি হজমে অনেকটা সাহায্য করে। তাই হজমের জন্য শরীর থেকে অনেকটা পানি মিশ্রিত হয়ে যায়। আমাদের দেহে হজমের জন্য যে এনজাইম গুলো ক্রিয়া করে পানি সে এনজাইমগুলোর সাথে মিশে খাদ্যকে ভাঙতে এবং হজমে সাহায্য করে। এটা শুধু মিষ্টি জাতীয় খাবারের জন্যই নয় বরং সব খাবারের জন্যই প্রযোজ্য।
৩. দাঁতের স্বাস্থ্য
আপনি যদি মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন যে মিষ্টি খাওয়ার পরে অনেকক্ষণ পানি না খেয়ে থাকলে দাঁতে কেমন টকটক অনুভূত হয়। এর মূল কারণ হলো আমাদের মুখের ভিতরে অনেক ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। তাই যদি মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খাওয়া হয় তাহলে এই মিষ্টিটুকু দাঁতের সাথে লেগে থাকে না। এর ফলে ব্যাকটেরিয়াও তাতে জন্মাতে পারে না। তার কারণে দাঁত সুস্থ থাকে। আবার অন্যান্য খাবার খাওয়ার সময়ও দাঁতে খাবার আটকে থাকে। সে খাবারগুলো কেউ পেটের ভিতরে পাঠাতে পানি সাহায্য করে। মূলত মিষ্টি জাতীয় খাবার ব্যাকটেরিয়াকে সক্রিয় করে তোলে। তাই মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খেলে মিষ্টি যে টুকরোগুলো তাতে আটকে থাকার সম্ভাবনা থাকে তা অনেকটা কমে যায় এবং দাঁতের সাস্থ্যও ভালো থাকে।
এতক্ষণ তো জানলাম যে মিষ্টি খাওয়ার পরে পানি খেলে আসলেই কি কি উপকার হয়। আশা করি এই নিয়ে আর দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে না। তবে মিষ্টি খাওয়ার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। চলুন জেনে আসা যাক —
মিষ্টি খাওয়ার আগে কোন কোন বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত?
মিষ্টি জাতীয় খাবার যেন পেটের ক্ষতি না করে তার জন্য পুষ্টিবিদরা কয়েকটি বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে বলেছেন।
.১. প্রোটিন, ফাইবার, স্নেহ পদার্থ
মিষ্টির সাথে সবসময়ই প্রোটিন ফাইবার বা স্বাস্থ্যকর স্নেহ পদার্থ খাবার চেষ্টা করুন। তাতে ওই মিষ্টির খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কমাবে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হল শরীর কত দ্রুত খাদ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজে রুপান্তর করে তার একটা সূচক। এর জন্য মিষ্টির সঙ্গে এক মুঠো বাদাম অথবা সূর্যমুখী কিংবা কুমড়ার বীজ খেতে পারেন।
২. মিষ্টির স্বাস্থ্যকর বিকল্প
সবথেকে ক্ষতিকর মিষ্টি হল প্রক্রিয়াজাতকরণ সাদা চিনি। তাই সব সময়ই চেষ্টা করবেন এই চিনি খাওয়াকে এড়িয়ে চলতে। দেহকে সুস্থ রাখতে চাইলে চীনের কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। যেমন আপনি চিনির বদলে মধু কিংবা গুড় খেতে পারেন। কারণ মধু এবং গুড় সাদা চিনির থেকেও অনেকটা স্বাস্থ্য কর। আর ফলে দিক থেকে আপনি কলা, আপেল কিংবা খেজুর খেতে পারেন।
৩. পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ
মিষ্টি পছন্দের খাবার হলেও এটি শরীরের জন্য কিছু ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন নিয়ন্ত্রণে রাখতে। আর মিষ্টি খেলে অতিরিক্ত পরিমাণে না খেয়ে অল্প পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
আশা করি পোস্টটি সবার ভালো লেগেছে। ট্রিটবিডির সাথেই থাকুন। আর আপনারা যদি প্রশ্নোত্তর করে ইনকাম করতে চান তাহলে আমার ওয়েবসাইট Easyanswer.top এ ভিজিট করতে পারেন। আমার ওয়েবসাইট Easyanswer থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ কাজ করে যাচ্ছে। এখানে আপনি প্রশ্ন করা এবং উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি ৫০০ পয়েন্ট অর্জন করলে ৫০ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আর অ্যাকাউন্ট খোলার সাথে সাথে আপনি ৫০ পয়েন্ট ফ্রি পেয়ে যাবেন। বর্তমানে ২০০+ সদস্য এ কাজ করছে। আপনি যদি থেকে প্রশ্ন- উত্তর করে ইনকাম করার পূর্বে এই পোস্টটি পড়ে তারপরে কাজ শুরু করবেন[ আবশ্যিক]। আপনি যদি ইনকাম করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে ভিজিট করুন Easyanswer.top।