‘আকাশ ছোঁয়ার’ লড়াইয়ে মাতল শিশুরা

‘আকাশ ছোঁয়ার’ লড়াইয়ে মাতল শিশুরা

সারাদেশ

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা

2025-01-10

নাটাই হাতে শিশু-কিশোর। হরেক রকম বর্ণিল ঘুড়ি। কে কত উঁচুতে ওড়াতে পারে, চলছে সে প্রতিযোগিতা। আকাশ ছোঁয়ার এ লড়াইয়ে মেতে উঠেছিল জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার শিশুরা। দুরন্ত শিশুদের ডিজিটাল গেম ও মোবাইল ফোনে আসক্তি দূর করতেই শুক্রবার সকালে পৌর এলাকার রাজকান্দা লিঙ্ক রোডে এ আয়োজন করেন স্থানীয় কয়েক যুবক।

রাজকান্দা লিঙ্ক রোডের দিগন্তজোড়া সরিষা ক্ষেতের হলুদ মাঠে সকাল থেকে এক ঝাঁক শিশু-কিশোর ঘুড়ি ওড়াতে ব্যস্ত। কথা হলে আয়োজকরা জানান, গ্রামবাংলা থেকে দেশীয় সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে। শিশুরা আগের মতো গ্রামীণ খেলায় ব্যস্ত থাকে না। চোখে পড়ে না তাদের দুরন্তপনা। প্রযুক্তির উৎকর্ষে শিশুরা ধীরে ধীরে ডিজিটাল গেম আর স্মার্ট ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ আসক্তি থেকে তাদের বিরত রাখতে স্বল্প পরিসরে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। 

এ উৎসবে এসে ১০ বছর বয়সী শিশির জানায়, ইউটিউব এবং পড়ার বইয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর ছবি দেখেছে সে। নিজে কোনোদিন ঘুড়ি ওড়ায়নি। এই প্রথমবার আকাশে ঘুড়ি ওড়াতে পেরে খুব আনন্দ পেয়েছে। 

আবু ওবাইদ নামে আরেক শিশুর বাবা জুনায়েদ আহম্মেদ জানান, এখনকার শিশুরা ঘুড়ি ওড়ায় না। আজকে তাদের ঘুড়ি ওড়াতে দেখে আমরাও শৈশবে ফিরে গেছি। উৎসবে ছেলেকে নিয়ে এসেছি। তাকে ঘুড়ি ওড়ানো শিখাচ্ছি। সে খুব আনন্দ পেয়েছে। এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত হওয়া উচিত।

ঘুড়ি উৎসব দেখতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মশিউর রহমান মিশু বলেন, শিশুদের ঘুড়ি ওড়ানো দেখে ছোটবেলায় ফিরে গেছি। তারা অনেক আনন্দ-উচ্ছ্বাস নিয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে। ওদের বিকাশে এমন উৎসব খুবই প্রয়োজন। ঘুড়ি উৎসব দেখে খুব ভালো লেগেছে।

ঘুড়ি উৎসবের আয়োজক শাদমান হাফিজ শুভ বলেন, এখনকার শিশুরা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে আসক্ত। তারা গ্রামীণ সংস্কৃতির সঙ্গে তেমন পরিচিত নয়। এতে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ আসক্তি থেকে ফেরাতেই আমাদের এ আয়োজন। নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন করা হবে। 

© Samakal
Shares:
Leave a Reply