আসামি না পেয়ে মেয়ে-জামাইকে ডিবি কার্যালয়ে ১১ ঘণ্টা

আসামি না পেয়ে মেয়ে-জামাইকে ডিবি কার্যালয়ে ১১ ঘণ্টা

সারাদেশ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

2025-01-14

খেলাপি ঋণের মামলায় পাট ব্যবসায়ীকে না পেয়ে তাঁর মেয়ে, জামাই ও ব্যবস্থাপককে ১১ ঘণ্টা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখে পুলিশ। এ সময় গোয়েন্দারা সাদা পোশাকে ছিল। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এটা আইন ও মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

নগরীর নিতাইগঞ্জ এলাকার শারমিন জুট বেলার্সের মালিক আবদুল আলী। তাঁর আইনজীবী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন জানান, আবদুল আলী নানা কারণে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কমার্স ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখায় ঋণখেলাপি হন। আদালত থেকে তাঁকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা রয়েছে। তাই তিনি পালিয়ে রয়েছেন। অন্য সম্পত্তি বেচে দেনা শোধের চেষ্টা করছেন। ঋণের বিপরীতে সম্পত্তি বন্ধক রয়েছে ব্যাংকের কাছে। তাঁর বাড়ি নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের জিমখানা এলাকায় সিটি করপোরেশনের উল্টো দিকে। পুলিশ একাধিকবার এই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে পায়নি। না পেয়ে ডিবি সোমবার ভোর ৫টায় ঢাকার বাড্ডায় তাঁর মেয়েজামাই এ টি এম পারভেজ সাজ্জাদের বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে শারমিন আক্তার, তাঁর স্বামী এ টি এম পারভেজ সাজ্জাদ ও নগরীর দেওভোগের বাসা থেকে শারমিন জুট মিলের ব্যবস্থাপক জামান আহমেদকে আটক করা হয়। তাদের নগরীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থিত ডিবি দপ্তরে আটক রাখা হয়। বিকেল ৪টায় তাদের মুচলেকা রেখে ছাড়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে কোনো পরোয়ানা নেই। পুলিশ সাদা পোশাকে কোথাও অভিযান চালাতে পারবে না বলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ঢাকা দক্ষিণের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘন। বাবার অপরাধে মেয়ে, জামাই ও ব্যবস্থাপককে আটক করে আনা যায় না।’

ঘটনার ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘আবদুল আলী মোটা অঙ্কের ঋণখেলাপি। তাঁকে ধরার জন্য ওপর মহলের চাপ রয়েছে। তাই তাঁর ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে এই তিনজনকে আনা হয়েছিল। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
 

© Samakal
Shares:
Leave a Reply