
উৎপাদন হয় যেখানে, সেই ভোলার মানুষ কেন গ্যাস পাবে না, প্রশ্ন সারজিসের
সারাদেশ
ভোলা প্রতিনিধি <time class="op-modified" dateTime="2025-01-10"2025-01-10
2025-01-10
ভোলার মানুষের যথাযথ চিকিৎসা সুবিধা ও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, যেই ভোলায় গ্যাস উৎপাদন হয়, সেই ভোলার মানুষ কেন গ্যাস পাবে না। যেই ভোলা থেকে একজন রোগী লঞ্চ, স্পিডবোট কিংবা ফেরিতে ঢাকা পৌঁছানোর আগেই মারা যায়, সেই ভোলায় কেন একটি মেডিকেল কলেজ হবে না?
শুক্রবার দুপুরে ভোলা সরকারি স্কুল সংলগ্ন ইলিশা ফোয়ারা মোড়ে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সারজিস আলম বলেন, ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে যদি পদ্মা সেতু হয়, ৩০-৩৫ কোটি টাকা খরচ করে পদ্মা সেতুতে সঙ্গে রেল সংযোগ হয়; দুই প্রকল্প মিলে যদি প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ করা হয়, তাহলে ৫-১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে কেন বরিশাল-ভোলায় একটি সংযোগ সেতু হবে না, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভোলার ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণ তুলে ধরে তিনি বলেন, এই ভোলার সহযোদ্ধা ভাইয়েরা আমাদের বলেছেন, যারা জসিম ভাইসহ অসংখ্য ভাইবোনকে রক্তাক্ত করেছে; তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ওই সময়ের যে পুলিশ সুপার, তার সাথের অফিসার ও কনস্টেবলরা আমার ভাইবোনদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে; তাদের শাস্তি যেন শুধু বদলিতে শেষ না হয়। অভ্যুত্থানে যারা রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে তাদের যেন স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সারজিস আলম বলেন, আগামীর নতুন বাংলাদেশে আমরা যারা তরুণ প্রজন্ম রয়েছি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি কোনো অপশক্তি আমাদেরকে আটকে রাখতে পারবে না। অভ্যুত্থানে যে স্পিরিট সামনে রেখে আমরা রক্ত দিয়েছি, জীবন দিয়েছি- সেগুলো ঘোষণাপত্রে লিখিত আকারে থাকা প্রয়োজন। সেটি যেন কয়েকজনের কথায় না হয়। এর মধ্যে যেন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা ও থানার প্রতিটি শ্রেণির মানুষের কথা হয়।
এই ছাত্রনেতা বলেন, বাংলাদেশের যে জায়গাগুলোতে এখনো দালালি ও চাঁদাবাজি হয়। হোক সেটা ইউনিফর্ম পরে অথবা সাদা পোশাকে তাদের বিরুদ্ধে সবাই সচেতন থাকবেন।
এ সময় পথসভায় বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, ভোলা জেলা সমন্বয়কদের মধ্যে ইসরাফিল হোসেন জাবির, ইসরাত জাহান আলভি প্রমুখ।
এর আগে সকালে সারজিস আলম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা ভোলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ জসিম উদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সহানুভূতি জানান। পরে ভোলা বাংলা স্কুল মোড় সদর রোড, সদর রোড, চকবাজার, নতুন বাজার এলাকায় ঘোষণাপত্রে ৭ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন। দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও লিফলেট বিতরণ করেন।