আসসালামু আলাইকুম । ট্রিকবিডিতে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।  আমি ট্রিকবিটের নিয়মিত একজন পাঠক।  তবে একটা জিনিস খেয়াল করলাম প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ট্রিকবিডি অনেকদিন ধরেই প্রযুক্তির খবর দেয় না বরং বিভিন্ন ট্রিক্স ও ইত্যাদি শেয়ার করে।  তাই আমি ভাবলাম যে প্রযুক্তি বিষয়ক কিছু খবর মানুষকে জানানো যাক।  তাই আমার ট্রিকবিডিতে লিখতে আসা।  পোস্টের টাইটেল এবং থামনেল দেখে হয়তো আপনি বুঝে গিয়েছেন আমি কি নিয়ে কথা বলতে চলেছি।  আজকে আপনাদের এমন একটি প্রযুক্তি বিষয়ক খবর জানাবো যেটা শুনলে আপনাদের ও মাথা ঘুরে উঠবে।  বিষয়ঃ 

বর্তমান এআই এর বাজারে বাংলাদেশের বাজেটের থেকেও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছে মার্ক জাকারবার্গ। 

এ আই গত কয়েক বছর ধরে আমাদের সকলেরই একটি পরিচিত নাম।  বর্তমানে এটি যেন আমাদের একেবারে নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।  মাত্র কয়েক বছর আগেও আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না।  কিন্তু গত বছরের দিকে বাজারে   চ্যাট জিপিটি আসার পরে মানুষকে একটি নতুন পথ দেখিয়ে দিয়েছে এই এ আই।  আর বিশ্বের যত ধনী ব্যক্তি আছে তারা তাদের বিনিয়োগের জায়গা খুঁজে নিয়েছে এই এআইএ। 

 নতুন বছর আসতে না আসতেই এআইয়ের বাজারে যেন বিনিয়োগের ঢল নেমে গিয়েছে।  বিশ্বের বড় বড় ধনী ব্যক্তিরা তাদের অর্থ বিনিয়োগ করছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  বা  এআই প্রযুক্তি  খাতে। এইতো কিছুদিন আগেই বাজারে উন্মোচন হলো ‘ স্টার গেট’ প্রজেক্টরের।  আর এই প্রযুক্তি খাতে উন্নত করার জন্য ওপেন  এ আই,  ওরা কল ও জাপানের সফ্ট ব্যাংক যৌথভাবে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চলেছে।  কিছুদিন আগেই আবার জানা গেল বিশ্বের বড় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক এর মালিক মার্ক  জাকারবার্গ তাদের নিজস্ব তৈরীকৃত প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন ৬৫ বিলিয়ন ডলার।  অর্থটা কিন্তু মোটেও ছোট না।  বাংলাদেশী মুদ্রায় হিসাব করলে এর পরিমাণ দাঁড়াই ৭ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকার সমান। 

 

 আর এ বছর বাংলাদেশের বর্তমান বাজেট এর মূল্য ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশের সমপরিমাণ বাজেটের অর্থ মার্ক জায়গারবার্গ তার এআই প্রযুক্তিকে উন্নত করার জন্য বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।  মার্ক জাকারবার্গের এত বড় বিনিয়োগের কারণ হিসেবে জানা যায়,  google কিংবা ওপেন এ আই এর মত বড় বড় কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির থেকে নিজেদেরকে আরো বেশি উন্নত এবং নিজেদেরকে আরো বেশি এগিয়ে রাখার জন্য তার এত বড় বিনিয়োগ। 

 

  মেটার  পরিকল্পনাঃ  

 প্রযুক্তির সাথে নিজেদেরকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রাখার জন্য কোন দিক থেকে কমতি রাখতে চায় না মেটা।  তারা এই এ আই এর বাজারে নিজেদেরকে এগিয়ে রাখার জন্য দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  এছাড়া দুই গিগাবাইট  এরও বেশি সক্ষমতার একটি বিশাল বড় ডেটা সেন্টার নির্মাণ করতে চাই তারা। মেটার পরিকল্পনা,  ২০২৫ সালের মধ্যেই তাদের ডেটা সেন্টারে এক দশমিক তিন মিলিয়ন গ্রাফিক্স প্রসেসর নিয়ে আসা এবং  অনলাইন সেবাই এক গিগাবাইট কম্পিউটার পাওয়ার কাজে লাগানো। 

 

বর্তমানে এআই এর বাজারে নিজেদেরকে বড় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচয় দিয়েছে মেটা।  তাদের নিজস্ব চ্যাট বটের পাশাপাশি এমন কিছু অনন্য  পণ্য রয়েছে  যা গুগল কিংবা মাইক্রোসফটের কারো কাছেই নেই। জাকারবার্গ বলেছেন, “  2025 সালের মধ্যে মেয়েটার এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট এর সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক বিলিয়নের অধিক হয়ে যাবে-  যেটা গত বছর ছিল 600 মিলিয়ন।  আর গত বছর এআই প্রযুক্তি হাতে তারা বিনিয়োগ করেছিল 38 থেকে 40 বিলিয়ন ডলার,  যেটা এবছরের থেকে অনেক কম। 

 

 প্রযুক্তি   খাতে এত বড় বিনিয়োগ  অনেক ব্যবসায়ীদের চিন্তাই ফেলে দিয়েছে। জাকারবার্গ এর ধারণা, “ ২০২৫ সালটা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর হতে চলেছে।  কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে এত বড় বিনিয়োগ তাদের সামনের পণ্যগুলোকে আরো উন্নত করে তুলবে। মেটার সাথে  তাল মিলিয়ে চলছে google মাইক্রোসফট,  আমাজন,  ওপেন এআই সহ বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠান।  তারাও এই এই আই প্রযুক্তি খাতে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করছে। 

 

 আজকে এ পর্যন্তই।  আশা করি আপনাদের লেখাটি পছন্দ হয়েছে।  সবাই ট্রিকবিডি এর সাথেই থাকুন।  ধন্যবাদ।

Shares:
Leave a Reply