
ডিমেনশিয়া থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকুন
ডাক্তারবাড়ি
ডা. রাশেদ সোহরাওয়ার্দী 2025-01-14
ডিমেনশিয়া হচ্ছে একটি জটিল নিউরো ডিজেনারেটিভ রোগ। এ রোগ হলে মানুষ ধীরে ধীরে তাঁর স্মৃতিশক্তি হারাতে থাকেন। ভুলতে থাকেন সব কিছুই। গত বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডিমেনশিয়া নিয়ে জনস্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রতিক্রিয়ার ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল, যেখানে দেখা গেছে বিশ্বজুড়ে ৫৫ মিলিয়ন মানুষ এ রোগ নিয়ে বাঁচছেন এবং প্রতি তিন সেকেন্ডে একজন এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ডব্লিউএইচও (হু)-এর মতে এ রোগই হচ্ছে সপ্তম বৃহৎ কারণ মৃত্যুর, এবং এটির জন্য বয়সকালে অন্যদের ওপরে নির্ভরতা বাড়তে থাকে। এখনও অনেকেই জানেন না যে এ রোগ কী করে প্রতিরোধ করা যায় বা এ রোগ হলে কী করা উচিত।
ডিমেনশিয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে কী করবেন?
এ রোগের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে গেলে নিয়মিত মানসিক এবং শারীরিক কসরত করুন। যতটা পারেন সক্রিয় থাকার চেষ্টা করুন। দেখে নিন রোজকার জীবনের কোন সাত অভ্যাস বদলালে কমতে পারে ডিমেনশিয়া হওয়ার আশঙ্কা।
সঠিক ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন মানেই সেটি রক্তচাপ বাড়াবে এবং একই সঙ্গে বাড়বে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার শঙ্কা এবং এই দুটো রোগই কিন্তু পরবর্তী সময়ে ডিমেনশিয়া রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন এবং নিজের ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। রোজ সঠিক পরিমাণে ফল, সবজি, বাদাম, ইত্যাদি খান।
নিয়মিত শরীর চর্চা করুন: অলস হয়ে থাকলে হার্টের অসুখের সঙ্গে মেদ বাড়তে পারে। ওজন বাড়া মানেই উচ্চরক্তচাপ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা। সেজন্য এগুলো দূরে রাখতে নিয়মিত শরীর চর্চা করুন। নিজেকে যত সক্রিয় রাখবেন তত বিভিন্ন ধরনের রোগ দূরে থাকবে।
মদ্যপান ত্যাগ করুন: অতিরিক্ত মদ পান করলে তা স্ট্রোক, হার্টের অসুখ, ক্যান্সারের কারণ হতে পারে, যা আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতি করবে। এগুলোর কারণে পরবর্তী সময় ডিমেনশিয়া হতে পারে। আগে থেকে সতর্ক হন এবং মদ পান ত্যাগ করুন।
ধূমপান ছাড়ুন: ধূমপান করলে শিরা সরু হয়ে যেতে পারে, রক্তচাপ বাড়তে পারে, যা আপনাকে ক্রমশ কার্ডিওভাসকুলার রোগের দিকে নিয়ে যাবে এবং একই সঙ্গে এটির কারণে ডিমেনশিয়া হতে পারে।
চাপমুক্ত থাকুন: অতিরিক্ত চাপ নিলে বা সারাক্ষণ চাপে থাকলে বাড়তে পারে ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা। নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন: যত বয়স বাড়ে আমাদের ততই রোগের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত চেক আপ করান, সঠিক জীবনযাপন করুন এবং একই সঙ্গে সঠিক পুষ্টিকর খাবার খান। মোদ্দা কথা হলো একটা সুস্থ, ভালো রুটিন মেনে চলুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। তেলেভাজা, প্যাকেটজাত খাবারের পরিবর্তে এমন খাবার খান যা আপনাকে পুষ্টি দেবে এবং একই সঙ্গে ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা কমাবে।