
‘তনুশ্রী হত্যা’য় জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসি দাবি
সারাদেশ
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি 2025-01-13
মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তনুশ্রী রায়কে হত্যার অভিযোগ করেছেন তাঁর সহপাঠীরা। এতে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। গতকাল রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে এমন বক্তব্য দেওয়া হয়। এ সময় তনুশ্রী হত্যাকারীদের ফাঁসির এক দফা দাবি তুলে ধরে স্লোগান দেন তারা।
তনুশ্রী রায় (২১) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চৈল্লা গ্রামের
দীনবন্ধু রায়ের ছোট মেয়ে। গত ৩ অক্টোবর পারিবারিকভাবে তাঁর বিয়ে হয় পৌর এলাকার বনগ্রাম এলাকার অটল বিশ্বাসের ছেলে অতনুর সঙ্গে। বনগ্রাম এলাকার এবি ভিলা নামের ভবনে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তনুশ্রী। সেখান থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তনুশ্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় স্বামী অতনু বিশ্বাস (৩০), শ্বশুর অটল বিশ্বাস ও শাশুড়ি আরতি বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলায় বাদী দীনবন্ধু রায় অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে নানা বিষয়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজন দুর্ব্যবহার করে আসছিল। গালাগালসহ প্রতিনিয়ত মানসিক নির্যাতন চালাত তারা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন তনুশ্রী।
স্বজনরা জানিয়েছেন, তনুশ্রী এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের পর নার্সিংয়ে ভর্তি হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় পরিবারের কেউ রাজি হয়নি। এক বছর পর মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। পড়াশোনা শেষে শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন তিনি।
রোববার মানববন্ধন শেষে মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা তনুশ্রী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাত দফা দাবি লিখে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। এর পর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে যান। বিক্ষোভ শেষে পুলিশ সুপারকেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস এম আমান উল্লাহ বলেন, তনুশ্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাবা আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে পুলিশ ওই তরুণীর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছে।