
পপুলার ইন্সুরেন্সের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আহমেদকে হত্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্ত্রী জান্নাতুল
বাংলাদেশ
সমকাল প্রতিবেদক <time class="op-modified" dateTime="2025-01-14"2025-01-14
2025-01-14
স্বামীকে হত্যার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে অন্তর্বর্তী সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক নারী। তাঁর স্বামী পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান (প্রতিষ্ঠাতা) ও জুট ব্যবসায়ী হাসান আহমেদ। তাঁকে (হাসান আহমেদ) হত্যা মামলার প্রধান আসামি জান্নাতুল ফেরদৌস। এই মামলায় তিনি জেল থেকে জামিনে এসে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তবে তাঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নিহত হাসানের ছোট ভাই কবির আহমেদ ও তাঁর পরিবার।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘তাঁর স্বামী হাসান আহমেদ ২০২০ সালে হঠাৎ স্ট্রোক করে অসুস্থ হন। এ সময় তিনি পপুলার লাইফস ইন্সুরেন্স থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর হাসান আহমেদের ব্যক্তিগত ম্যানেজার বিদ্যুৎ ঘোষ, ছোট ভাই কবির আহমেদ ও মুসা আহমেদ সম্পত্তি আত্মসাতের চক্রান্ত করতে থাকেন। ২০২২ সালে আমার তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় হাসানের মৃত্যু হলে দেবররা আমাকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আমি হাজিরা দিতে গেলে আদালত আমাকে জেলেহাজতে পাঠান। পরে পল্টন থানা মামলার তদন্ত করে আমাকে আসামি থেকে অব্যাহতি দেয়। কিন্তু বাদীপক্ষ নারাজি দেওয়ায় ডিবি তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদকে ম্যানেজ করে এই চাজশির্ট দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ১৫ জানুয়ারি ঢাকার নবম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার শুনানি হবে। এতে আমি ও আমার পরিবার নির্দোষ প্রমাণিত হলে দ্রুত এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি কামনা করছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কবির আহমেদ বলেন, ‘আমার অসুস্থ ভাইয়ের অর্থ-সম্পত্তি গ্রাস করতে ভাবি জান্নাতুল ফেরদৌস পরিকল্পিতভাবে তাঁকে (হাসান আহমেদ) হত্যা করেছেন। জীবিত থাকাকালীন আমার ভাই তাঁর স্ত্রীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিলেন। আমাদের সঙ্গে ভাইকে যোগাযোগ করতে দিতেন না। আমার ভাইকে হত্যার পর ভাইয়ের এফডিআর ভেঙে ৮ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন জান্নাতুল। আদালতের মাধ্যমে ভাড়া বাবদ দুই কোটি টাকা নিয়েছেন। কয়েকটি ব্যাংকে ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নিয়েছেন। কোম্পানির শেয়ার, ফ্ল্যাট বিক্রি এবং বহু ফ্ল্যাটের ভাড়া এখনও নিচ্ছেন। কিন্তু তাঁর শাশুড়ির (হাসান আহমেদ) মায়ের অংশ বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। শাশুড়িকে ভাগ দিতে হবে বলে জান্নাতুল ফেরদৌস ১৩০ কোটি টাকার একটি এফডিআর নবায়ন করছেন না। অথচ ওই এফডিআরের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এই টাকা আত্মসাতের জন্য তিনি আমাকে ও আমার আমেরিকা প্রবাসী ভাই মুসা আহমেদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা করেছেন। আমাদের ডিবি অফিসে ডেকে নিয়ে হয়রানি করেছেন। অথচ মুসা ৪৫ বছর আমেরিকায় বসবাস করছেন। মামলা তুলে নিতে ভাবি জান্নাতুল বিভিন্ন লোক মারফত আমাদের হুমকি দিচ্ছেন।’