আসসালামু আলাইকুম
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে , ডক্টর ইউনুস স্যারের এই অসাধারণ সিদ্ধান্ত বদলে দিতে পারতো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।
পারতো বললাম এটার কারণ এই ভিডিওটা সম্পূর্ণ দেখলে জানতে পারবেন। আগে বলে রাখি আমি কোন পলিটিক্যাল পারসন না আমি আলোচনা করব টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে।
আপনাদের যদি বলি ,প্রধান উপদেস্টাঁ ডক্টর ইউনূস স্যার এর নেয়া এই সিদ্ধান্তটি ব্যর্থ হবে , তবে সেটা তার ভুলের জন্য নয়!
তাহলে আপনারা অনেকেই অবাক হতে পারেন, !
অবাক হওয়ার পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে কারণ আমরা জানি ডঃ ইউনুস স্যার ও উপদেষ্টা সরকার কিভাবে দেশের খারাপ সময়ে এসে দেশের হাল ধরেছে এবং দেশের সমৃদ্ধি ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে সর্বদা কাজ করে চলছে।
তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ডক্টর ইউনুস স্যার ব্যর্থ হতে পারে পূর্ববর্তী সরকার এর ভুলের কারণে ,পাপের কারণে।
স্বৈরাচারী , সরকার শেখ হাসিনার আমলে সকল ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট এবং দুর্নীতি এমনকি বাংলাদেশের সবচাইতে গোপন বিষয় নাগরিক তথ্য সেইখানেও দুর্নীতি বাসা বাঁধে এবং এমনকি এখন পর্যন্ত সেই জায়গাগুলো নিরাপদ নয়।
বাংলাদেশের জাতীয় তথ্য সার্ভারের অ্যাক্সেস শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের ভারতের কাছেও এবং কিছু অসাধু সরকারি ব্যক্তি বর্গ আছে যারা কিছু টাকার জন্য নাগরিকের এই গোপন তথ্য এমনকি বাংলাদেশ সার্ভারের নিরপত্তা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলে!!
আপনারা হাসিনার পরবর্তী সমযয়ে , বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেনেছেন যে বাংলাদেশের নাগরিকের তথ্য নিরাপদ নয় !
এবং বাংলাদেশের নাগরিকের তথ্য এন আইডি সার্ভার কপি অল্প কিছু টাকার মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে।
এটা নতুন কোন তথ্য নয় , এবং এটা সংবাদিক রা আগেও জানত ।! শুধু স্বৈরাচারির ভয়ে তারা মুখ খুলতে পারেনি ।
আমি যখন ২০২১ সালে আমার নতুন ইউটিউব চ্যানেল TechDoorBD খুলি তখন থেকে আমি সার্ভার , ইপিআইয় নিয়ে বিভিন্ন রিসার্চ শুরু করি । এবং টেলিগ্রাম ও ফেসবুকের কিছু তথ্য থেকে , তখন থেকে আমি জানি যে বাংলাদেশের নাগরিকের তথ্য নিরাপদ নয় এবং টেলিগ্রামে কিছু বিভিন্ন চ্যানেল এগুলো খুব অল্প দামে বিক্রি করে।
এবার আসি মূল পর্বে, আপনাদেরকে এবার এর থেকে ভয়ংকর একটি তথ্য দিই রোহিজ্ঞা ইস্যুতে।
বাংলাদেশের কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ এনআইডি সহ সরকারি সার্ভারের রেজিস্টার করে তাদেরকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিচ্ছে।
একটি বাংলাদেশের নাগরিকের পরিচয় হচ্ছে তার জন্ম নিবন্ধন এবং তার জাতীয় পরিচয় পত্র যেটা জাতিয় NID সার্ভার ও নিবন্ধন সর্ভারে সরকারিভাবে নিরাপদে যাচাই করণ এবং তৈরি করা হয়।
তবে , টেলিগ্রামে কোয়েকটি সোর্স ও প্রমাণ সহ জানতে পারি , যে
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী জন্ম সনদ এবং জাতীয় পরিচয় পত্র সর্ভারে এন্ট্রি করে এবং পর্দান করা হচ্ছে!!
। মূলত তারা কিছু সরকারি অবৈধ অফিসারদের এবং কর্মচারীদের সাথে হাত করে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে তৈরি করছে এগুলো তারা। যেটা অত্যান্ত ভয়ানক এবং জাচাই করা অনেক চ্যালেঞ্জিং!
২০২৪ এর জরিপ মতে আমাদের বাংলাদেশের ১০ লক্ষ মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা প্রবেশ করে, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হওয়ার কারণে তারা একটি পন্থা অবলম্বন করে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের খারাপ পরিস্থিতির কারণে এবং বাংলাদেশের বসবাস সুবিধা তাদের কাছে তুলনামূলক ভালো লাগার কারণে অনেকেই মুখে মুখে বললেও ৭০ থেকে ৮০ পারসেন্ট রোহিঙ্গা চাই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করতে এবং বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে।
এর কারণে তারা যেভাবেই হোক টাকা খরচ করে এবং বাংলাদেশের সরকারি ও অবৈধ কিছু কর্মচারী এবং অফিসারদের হাত করে নিজেদের পরিচয় পত্র তৈরি করছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রোহিঙ্গা তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগটি নেওয়ার পরেও যখন সেটির বাস্তবায়ন হবে এবং রোহিঙ্গাদের যাচাই করে দেশে পাঠাতে হবে তখন বাংলাদেশের নাগরিক এবং রোহিঙ্গাদের ভিতরে পার্থক্যকরণ খুবই কঠিন একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়বে ।
তবে , বর্তমান সময়ে যারা উপদেষ্টা রয়েছে তাদেরকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, না হলে এর জন্য আমাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে!
শুধু আমি নই যারা বর্তমানে এইসব প্রযুক্তির সাথে জড়িত তাদের অনেকেই এই তথ্যগুলো জানে আপনাদের যদি বিস্তারিত তথ্য এবং প্রমাণের প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন যেকোনো সময়!!!
দেশের জনি সর্বদা সক্রিয় আছি!!
আল্লাহ হাফেজ।
Views: 18