বালু তুলতে বাধা দেওয়ায় কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

বালু তুলতে বাধা দেওয়ায় কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

সারাদেশ

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

2025-01-10

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অবৈধভাবে জমি থেকে বালু তুলতে বাধা দেওয়ায় কৃষক দুলায়েত হোসেন দুলালকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বাগানবাজার ইউনিয়নের মাস্টারপাড়ার রূপাইছড়ি খালসংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, স্থানীয় সোহাগ, রবিউল, শরীফ, আমির হোসেন, সজল, তৈয়ব উল্লাহ, আজাদ, দেলোয়ারসহ ১০ থেকে ১২ জন যুবদলের নাম ভাঙিয়ে কৃষক দুলালের জমি থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার তারা একই কাজ করতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ড্রেজার মেশিনের হ্যান্ডেল দিয়ে দুলালের মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করলে মগজ বের হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রূপাইছড়িতে ফেলে রেখে যায়। তার ভাই আবদুল জব্বার স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে রামগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানকার আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আজিম উল্লাহ বাহার জানান, জড়িতরা দলের কেউ হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বিষয়টি নিয়ে বাগানবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। 

বাগানবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভা
পতি একরামুল হক বাবুল বলেন, ঘটনায় জড়িতরা বিএনপির কেউ নয়। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ করতে সাহস না পায়।
নিহতের নাতি আনোয়ার জানান, তার দাদাকে হত্যা করেছে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মোহাম্মদ আজাদ, মো. সোহাগ, মোহাম্মদ সজল, আমির হোসেন. দেলোয়ার হোসেন. শরীফ ভূঁইয়া, তৈয়ব উল্লাহ, মো. রবিউল। আমি তাদের ফাঁসি চাই।

ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুল হক জানান, বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুলাল নামের এক কৃষক মারা গেছেন। তাঁর ছেলে আবদুল জব্বার বাদী হয়ে ভূজপুর থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আমির হোসেন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, খবর পাওয়ার পর ওসিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। 

© Samakal
Shares:
Leave a Reply