
বিপিএলে ঢাকার দ্বিতীয় জয়, সিলেটকে হারাল ৬ রানে
খেলা
স্পোর্টস ডেস্ক 2025-01-20
চলমান বিপিএলে অবশেষে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। টানা ছয় ম্যাচে পরাজয়ের পর সপ্তম ম্যাচে প্রথম জয় পায় তারা। সোমবার (২০ জানুয়ারি) নবম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে আসরটিতে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ের স্বাদ পেল লিটন দাসের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা ক্যাপিটালস ১৯৭ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট। ফলে শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা। এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে ছয়ে উঠে এসেছে দলটি।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় সিলেট শুরু থেকেই চাপে পড়ে। জর্জি মানজি (৩) এবং জাকির হাসান (৮) দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে ওপেনার রনি তালুকদার ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন। ৪৪ বলে ৬৮ রান করে থিসারার বলে বোল্ড হন তিনি।
শেষ দিকে জাকের আলী (১৩ বলে ২৮) ও আরিফুল হক (১৩ বলে ২৯) জয়ের আশা জাগালেও সিলেট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান এবং থিসারা পেরেরার বোলিংয়ে সিলেটকে ১৯০ রানে আটকে দেয় ঢাকা। ঢাকার হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান ও থিসারা পেরেরা ২টি করে উইকেট নেন। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং মুকিদুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। বিশেষ করে তানজিদ ছিলেন আক্রমণাত্মক। তবে বেশি সময় টিকতে পারেননি এই ওপেনার। টিপু সুলতানের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে লং অনে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১৬ বলে করেন ২২ রান।
সপ্তম ওভারের শুরুতেই জেপি কোটজে আউট হওয়ার শঙ্কায় পড়েন সামিউল্লাহ শিনওয়ারির বলে। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। কিন্তু এরপরও সুবিধা করতে পারেননি। দুই বল পরই সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। নামিবিয়ার এই ব্যাটার টুর্নামেন্টের দুই ম্যাচে করেছেন মাত্র ৮ ও ৯ রান।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাট থেকেও আসেনি প্রত্যাশিত রান। শিনওয়ারির অফ স্টাম্প ঘেঁষা ফুলটসে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে শট খেলতে গিয়ে লং অফে অ্যারন জোন্সের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান মোসাদ্দেক। দলীয় ৬২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ঢাকা। এরপর দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমান। তাদের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে ঢাকার ইনিংস। ১৪তম ওভারে ঢাকার স্কোর ছুঁয়ে ফেলে একশ’ রান।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন লিটন। ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে সুমন খানের লেন্থ বল মিড অফ দিয়ে উড়িয়ে ছক্কা মেরে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। ১৫ তম ওভারে ফিরে যান সাব্বিরও। ২১ বলে ২৪ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে লিটনের সঙ্গে তার ৪২ রানের জুটি।
পঞ্চম উইকেটে থিসারাকে নিয়ে এগোতে থাকেন লিটন। যদিও শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি তিনি। ৪৮ বলে ৭০ রান করে রুয়েল মিয়ার শিকার হয়েছেন। একটু পর গেছেন থিসারাও। ১৭ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন। এরপর ফারমানউল্লাহ শাফি ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ মিলে ঢাকার সংগ্রহ পৌঁছে দেন ১৯৬ রানে।