
যত রেকর্ড-কীর্তি নিয়ে অবসরে গেলেন তামিম
খেলা
স্পোর্টস ডেস্ক 2025-01-11
আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিয়ে নানা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল। ১৭ বছরের দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তিন ফরম্যাটেই অসংখ্য রেকর্ড গড়ে গেছেন তামিম। তার ক্যারিয়ারের কিছু উল্লেখযোগ্য কীর্তি তুলে ধরা হলো।
তিন ফরম্যাটেই প্রথম সেঞ্চুরি: তামিম বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার, যিনি তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি করেছেন। টেস্ট ও ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির পর ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করে এই রেকর্ড গড়েন তিনি।
১৫ হাজার রানের মাইলফলক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান করা প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার তামিম। মুশফিকুর রহিম পরবর্তীতে তার সঙ্গী হলেও ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় শীর্ষ রান সংগ্রাহক ছিলেন তামিম।
সেঞ্চুরি ও ফিফটির রাজা: তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তামিমের রয়েছে সর্বোচ্চ ২৫টি সেঞ্চুরি। পাশাপাশি তার ৯৪টি হাফ সেঞ্চুরি মিলিয়ে মোট পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসের সংখ্যা ১১৯, যা বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ওয়ানডেতে ৮ হাজার রান: ওয়ানডে ক্রিকেটে ৮ হাজার রান করা একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটার তামিম। তিনি ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ৮,৩৫৭ রান নিয়ে।
ছক্কার সেঞ্চুরি: তামিম বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ছক্কার সেঞ্চুরি করেন। তার মোট ছক্কার সংখ্যা ১০৩। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তার ছক্কার সংখ্যা ১৮৮।
তরুণ সেঞ্চুরিয়ান: ২০০৮ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন তামিম।
ধারাবাহিকতার উদাহরণ: ওয়ানডে ও টেস্টে টানা পাঁচ ইনিংসে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলা প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার তামিম।
অগণিত স্মরণীয় মুহূর্ত: তামিমের ক্যারিয়ার উপহার দিয়েছে অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত- পোর্ট অফ স্পেনে জহির খানের বলে ছক্কা হাঁকানো, লর্ডসে সেঞ্চুরি করে অনার্স বোর্ডে নাম তোলা, এশিয়া কাপে টানা চার ফিফটিতে উদযাপন, কিংবা ভাঙা আঙুলে ক্রিজে নেমে খেলা।
ম্যাচ সেরা ও সিরিজ সেরা: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২২ বার ম্যাচ সেরা হয়েছেন তামিম। সিরিজ সেরা হয়েছেন ৭ বার।
শূন্য রানের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড: সব ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তামিম।
ম্যাচ সংখ্যায় শীর্ষে: তিন ফরম্যাটে তামিম খেলেছেন ৩৮৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন শুধু মাহমুদউল্লাহ, সাকিব ও মুশফিক।
তামিমের ক্যারিয়ার শুধু রেকর্ডের নয়, আবেগ, স্মৃতি আর প্রতিভার মাইলফলক হিসেবেও ভাস্বর থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে।