বর্তমান সময়ে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে একটা কথাই বুঝি সেটা হলো রিলস। এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যেকোনো প্ল্যাটফর্মেই ফেসবুক, ইউটিউব থেকে শুরু করে ইনস্টাগ্রাম, টিক টক সহ আরো অনেক প্লাটফর্মে ভিন্ন ভিন্ন নামে আধিপত্য ছড়িয়ে রয়েছে এই ছোট ছোট ভিডিও। এটা শুধু একটা নির্দিষ্ট বয়সী মানুষদেরকেই আকৃষ্ট করে তাই নয় বরং এটা ছোট থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষদেরকেই আকৃষ্ট করে। একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন যে এখন দুই বছর বয়সী শিশু ইউটিউবের শর্টস না দেখালে ভাত খায় না।
রাতে ঘুমানোর আগে ঘন্টার পর ঘন্টা রিলস দেখা আমাদের নিত্যদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রিলস আমাদের সাময়িক শান্তি দিলেও এটা অনেক ক্ষতিকর। এটা শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে তাই নয় বরং শারীরিক স্বাস্থ্য ক্ষতি করে। হ্যাঁ আপনারা বলতে পারেন আমি কিভাবে এই কথাটি বলছি? আসলে বর্তমানে এক গবেষণায় দেখা হয়েছে, রাতে ঘুমানোর আগে একটা না দেখার ফলে আমাদের বাড়ছে হাইপারটেনশন এর ঝুঁকি।
হাইপারটেনশন কি?
এখন অনেকের মাথায়ই প্রশ্ন আসতে পারে যে হাইপারটেনশন আবার কি? আসলে হাইপারটেনশন হলো উচ্চ রক্তচাপের ইংরেজি নাম। একে ইংরেজিতে বলে HTN / HPN (Hypertension) । রক্তচাপ তো আমরা সবাই বুঝি। উচ্চ রক্তচাপ হলো একটি রোগ যখন কোন ব্যক্তির রক্তের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে যায় তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে।
সম্প্রতি বিভিন্ন বয়সী ৪ হাজার ৩১৮ জন মানুষের ওপর এক গবেষণা চালানো হয়েছে। আর এই গবেষণায় দেখা গেছে যে একটানা রিলস দেখার ফলে মানুষের হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বহুগুনে বেড়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই খোঁজার চেষ্টা করছিল যে রিলস দেখার সাথে রক্তচাপের কোন সম্পর্ক আছে কিনা? সেটার জন্যই গবেষণায় চীনের হেবেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দুটি বিষয়ের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। তারা গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন যে রাতে ঘুমানোর আগে রিলস দেখার ফলে সকল বয়সী মানুষের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
সাধারণত রক্তচাপ মধ্যবয়সী মানুষদের কিংবা বৃদ্ধ মানুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। কিন্তু রিলস এর ফলে এটা সকল বয়সী মানুষদের ক্ষেত্রেই তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ তরুণিদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি ছড়িয়ে পড়ছে।
রিলস এর আরো কিছু ক্ষতি
বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর রিলস এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে গবেষকরা আলোচনা করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে করনাকালীন সময়েই এই ছোট ভিডিও গুলা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে টিক টক অন্যতম। বর্তমানে জেন-জি ও জেন- আলফা এই দুই জেনারেশনের মানুষগুলো তাদের কাছে মনোযোগ ধরে রাখতে পারছে না তার একটা বড় কারণ হল এই রিলস। এটি মানুষকে চিন্তা করার ক্ষমতা, সৃজনশীলতা ও পরিশ্রমের মানসিকতাকে একেবারেই নষ্ট করে দেয়। বলতে গেলে এই রিলস মানুষকে যতটা নিচের দিকে আকর্ষণ করছে ঠিক ততটাই মানুষের ক্ষতি করে যাচ্ছে।
ঘুমানোর আগে রিলস দেখা কিভাবে ক্ষতি করে?
স্ক্রিন বা পর্দার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকা বা একটানা তাকিয়ে থাকা যে কোন মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। সেটা হোক টেলিভিশন কিংবা ভিডিও গেম কিংবা মোবাইল। তবে মানুষ যখন দিনের বেলা এ সকল কাজ করে তখন শরীর কিছুটা হলেও নড়াচড়া করে। যার ফলে দেহে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান থাকে। কিন্তু রাতে যখন রিলস দেখা হয় তখন বিছানার পরে শুয়ে গা মিলিয়ে দিয়ে আমরা রিলস দেখতে বসি। ফলে ঘন্টার পরে ঘন্টা আমাদের শরীর নড়াচড়া করে না। যার ফলে একটি স্বাভাবিক শরীরের দানা বাধে হাইপারটেনশনের মত সমস্যা। এছাড়াও, এভাবে দীর্ঘ সময় রেলস দেখার ফলে শরীরের সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে ভিডিও দেখার সময় আমাদের হৃদস্পন্দন তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়। আর এই কাজগুলো নিয়মিত চলতে থাকলে শরীর প্রচন্ড খারাপ পর্যায়ে চলে যেতে পারে।
এখন এই পর্যায়ে থেকে বেরিয়ে আসার জন্য শুধুমাত্র একটি উপায়ই অবলম্বন করতে হবে। সেটা হলো আপনি যতই রিলস দেখুন না কেন তার পরেও এই রিলসে আকৃষ্ট হওয়া যাবে না। রিলসের আশক্তিটা একেবারেই কমিয়ে আনতে হবে। ঘুমানোর আগে স্কিন টাইম কমিয়ে আনতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল ব্যবহার না করায় ভালো। কারণ মোবাইলে থেকে ব্লু রে নির্গত হয়। যেটা আমাদের মস্তিষ্ককে অনেকক্ষণ সজাগ রাখতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের ঘুমাতে ঘুমাতে অনেক সময় চলে যায়। আপনি একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন যে, আপনি যদি পড়াশোনা কিংবা অন্যান্য কাজ করেন তাহলে আপনার রাতে ঘুম পাবে। কিন্তু মোবাইল দেখলে আর ঘুম পায় না। তার একটা কারণ হলো এই নীল রশ্মি। তাই রাতে মোবাইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার ঘুমও ভালো হবে এবং শরীরের সুস্থ থাকবে।
আশা করি পোস্টটি সবার ভালো লেগেছে। ট্রিটবিডির সাথেই থাকুন। আর আপনারা যদি প্রশ্নোত্তর করে ইনকাম করতে চান তাহলে আমার ওয়েবসাইট Easyanswer.top এ ভিজিট করতে পারেন। আমার ওয়েবসাইট Easyanswer থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ কাজ করে যাচ্ছে। এখানে আপনি প্রশ্ন করা এবং উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি ৫০০ পয়েন্ট অর্জন করলে ৫০ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আর অ্যাকাউন্ট খোলার সাথে সাথে আপনি ৫০ পয়েন্ট ফ্রি পেয়ে যাবেন। বর্তমানে ২০০+ সদস্য এ কাজ করছে। আপনি যদি থেকে প্রশ্ন- উত্তর করে ইনকাম করার পূর্বে এই পোস্টটি পড়ে তারপরে কাজ শুরু করবেন[ আবশ্যিক]। আপনি যদি ইনকাম করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে ভিজিট করুন Easyanswer.top।
#*
ইনকাম করতে ভিজিট করুনঃEasyanswer