
শতবর্ষী প্রিয় প্রাঙ্গণে দিনভর আড্ডা-খুনসুটি
সারাদেশ
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি 2025-01-10
অজ্ঞানতার অন্ধকার ঘোচাতে সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে প্রতিষ্ঠা হয় মধ্যনগর বিশ্বেশ্বরী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। গতকাল শুক্রবার হাওরাঞ্চলের এই বিদ্যাপীঠ শতবর্ষে পদার্পণ করে। এ উপলক্ষে প্রিয় প্রাঙ্গণে ছুটে আসেন প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থী। সহপাঠী, সহকর্মীকে পেয়ে তারা খুলে বসেন স্মৃতির ঝাপি। দিনভর চলে তাদের আড্ডা, খুনসুটি।
সকালে বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষ পূর্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন। জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্রয়াত ব্যক্তিদের স্মরণে নীরবতা পালন, উদ্বোধনী সংগীত, আলোচনা সভা, তথ্যচিত্র প্রদর্শন, অতিথিদের সম্মাননা প্রদানসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছিল বিশেষ এই দিনের কর্মসূচি। এর আগে অতিথি ও প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আনন্দ শোভাযাত্রা হয়।
আলোচনা সভায় উৎসব উদযাপনের আহ্বায়ক বসন্ত কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান, সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রমা বিজয় সরকার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খুশী মোহন সরকার, ইউএনও উজ্জ্বল রায়, উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব বিজন কুমার তালুকদার, সহকারী অধ্যাপক গোলাম জিলানী, মধ্যনগর শিক্ষক সমিতির সভাপতি রমা রঞ্জন সরকার, সাবেক শিক্ষার্থী গোলাম হায়দার, অভি মঈন উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম তালুকদার ও তুষার আলম।
প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে স্মৃতিচারণ করে মধ্যনগর অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং এ বিদ্যাপীঠকে জাতীয়করণের ব্যাপারে প্রধান অতিথির সহযোগিতা কামনা করেন।
অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘এই মিলনমেলা আগামী দিনে পথ চলতে আমাদের মনের মধ্যে শক্তি দেবে। ভবিষ্যতের পাথেয় হয়ে থাকবে আমাদের এই স্মৃতিগুলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে প্রধান অতিথি না করা হলেও আমি অনুষ্ঠানে আসতাম। কারণ আমি নিবন্ধিত সাবেক শিক্ষার্থী। আমাদের উচিত একটি অ্যালামনাই গঠন করা; যাতে নবীন ও প্রবীণের মাঝে যুগসূত্র স্থাপন হয়। আমি এই হাওর অঞ্চলের সন্তান। তাই আমি
এখানকার সমস্যাগুলোর কথা জানি। আমার অঞ্চল নিয়ে কোনো সমস্যা উত্থাপন হলে এবং আমাকে জানালে তার নিরসনে আমার সহায়তা থাকবে।’