শ্রম খাতে মার্কিন উদ্বেগ এখনও বিদ্যমান

শ্রম খাতে মার্কিন উদ্বেগ এখনও বিদ্যমান

বাংলাদেশ

 কূটনৈতিক প্রতিবেদক

2025-01-20

বাংলাদেশের শ্রম খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রয়াস পুরোনো। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগও নতুন নয়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এ খাতের বৈশ্বিক উদ্বেগ দূর করবে, আশা করে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনসহ বাংলাদেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাতে শ্রম খাত নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরেন ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

১১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। সূত্র জানায়, প্রথম সাক্ষাতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শ্রম খাতের অসংগতি দূর করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স। একই সঙ্গে শ্রম খাতের সংস্কারের মাধ্যমে আইন সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মানে নেওয়ার তাগিদ দেন। পুরো বাংলাদেশে শ্রমিকদের জন্য একটি শ্রম আইনের প্রত্যাশার কথাও তুলে ধরেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা ও মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্র জানতে চায়, মিয়ানমারের রাখাইন সীমান্তে দেশটির সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেই। নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ কীভাবে সেখানে থাকা আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে? মানবাধিকারসহ সংস্কারের বিষয়ও বৈঠকে উঠে আসে।

দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্যাক টু ব্যাক বৈঠকে সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পথ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। নতুন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন প্রথম পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতে দু’দেশের মধ্যে অভিন্ন স্বার্থ এবং অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে সাক্ষাতে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবাধিকার, শ্রম সংস্কার, রোহিঙ্গাসহ অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পর্ক গভীর করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্তমান সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরে অবাধ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতির কথা আবারও তুলে ধরেন। একই সঙ্গে সংস্কার কার্যক্রমে মার্কিন সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা আবারও জানান চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স। তিনি বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি নিয়ে সরকারের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরত আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

 

© Samakal
Shares:
Leave a Reply