হিউম্যান ব্রেইন এক্সেস এবং কনট্রোল করার উপায়!
মানব মস্তিষ্কের যাবতীয় চিন্তা-চেতনা, আচার-আচরণ, প্রকৃতি ইত্যাদি সাইকোলজিক্যালি রিয়েলাইজেশান (উপলব্ধি) – এক্সেস এন্ড কনট্রোল (নিয়ন্ত্রণ) করার জন্য আমরা Psychological Frequency এর ব্যবহার করতে পারি…
Brain Frequency আলোচনা
মানব মস্তিষ্কের যাবতীয় এক্টিভিটির বহিঃপ্রকাশে অভ্যন্তরীণ যে ফ্রিকোয়েন্সির বিন্যাস তাতে পাঁচটি ক্লাসিফিকেশন (1) Delta [0.5Hz হতে 4Hz] যা গভীর ঘুম বা অবচেতন মনের এক্টিভিটিতে ফিজিক্যাল রিস্টোর প্রক্রিয়াতে সহায়ক – হরমোন নিঃসরণ এবং গভীর বিশ্রাম তথা রিলাক্সেশান ফিল করায়। (2) Theta [4Hz হতে 8Hz] যা গভীর রিলাক্সেশন, স্বপ্ন দেখা ও মেডিটেশন মাইন্ডের জন্য ইফেক্টিভ হয় – তাতে সৃজনশীল চিন্তা, অন্তর্দৃষ্টি ও অনুভূতি এবং স্মৃতি পুনঃসংযোগ ঘটে (3) Alpha [8Hz – 12Hz] যা হালকা বিশ্রাম, শান্ত কিন্তু সচেতন অবস্থার নির্দেশক তাতে মানসিক চাপ হ্রাস পায়, শেখার ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটে এবং মনোযোগ ও ফোকাস উন্নতিতে সহায়তা করে (4) Beta [12Hz – 30Hz] যা জাগ্রত, সচেতন, বিশ্লেষণধর্মী চিন্তাতে সমস্যা সমাধান, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, একাগ্রতা ও কর্মদক্ষতা বহিঃপ্রকাশ ঘটে (5) Gamma [30Hz – 100+ Hz] যা উচ্চতর মানসিক প্রক্রিয়া, আধ্যাত্মিকতা, ইনটুইশন প্রক্রিয়াতে স্মৃতি সংরক্ষণ, তথ্য প্রক্রিয়াকরণ, গভীর সচেতনতা ও আত্ম উপলব্ধি
ঘটাতে সহায়তা করে।
Brain Frequency বিশ্লেষণ
এই সকল ফ্রিকোয়েন্সি মূলত জৈব রাসায়নিক তড়িৎ সংকেত যা AC বা অল্টারনেটিং কারেন্টের মতো আপাত সাইন ওয়েভ মস্তিষ্কের কর্টেক্স দ্বারা উৎপন্ন হয় যাতে নিউরন সমূহের পরস্পর Action Potential এর মাধ্যমে সিগন্যাল ট্রান্সমিশনে কমিউনিকেশন ঘটে – যা মূলত নিউরন ঝিল্লির উভয় পাশের আয়ন ঘনত্বের তফাতে যে বিভব পার্থক্যের উদ্ভব তাতেই এই বৈদ্যুতিক সংকেতের উৎপত্তির মূল কারন। আবার এই সকল ফ্রিকোয়েন্সি যদিও আপাতভাবে প্রায় সাইন ওয়েভের মতো তথাপি তরঙ্গের ধরনে উহা সাইন (Sinusoidal), স্পাইক (Spike), শার্প ওয়েভ (Sharp wave), কমপ্লেক্স (Complex patterns), বার্স্ট (Burst), রিদম (Rhythmic), আর্রহিথমিক (Arrhythmic) ইত্যাদি ক্লাসিফাইড হতে পারে।
Brain Frequency প্যাটার্ন
সাদামাটাভাবে এই ফ্রিকোয়েন্সীর ধরণ ASCII এর চিত্র অনেকটাই এমন যেন [Sinusoidal:~~~~ ~~~~ ~~~~], [Spike:^ ^ ^], [Sharp Wave:/| /| /|], [Complex:^~^ ^~^], [Burst:~~~^~^~^~~~ ~~~^~^~~], [Rhythmic:||| ||| ||| ||| ||| |||], [Arrhythmic:|| | | || ||| | ||], [Polyspike:^^^ ^^^^ ^^^]।
Brain Frequency প্যাটার্নে চিন্তা চেতনার প্রভাব
1. Sinusoidal (সাধারণ তরঙ্গ, স্নিগ্ধ উঠানামা) : সুষম নিউরন ফায়ারিং শান্ত, ফোকাসড, রিল্যাক্সড অবস্থা আলফা ওয়েভে সবচেয়ে দেখা যায় — মেডিটেশন, শান্ত মন।
2. Spike (তীব্র পিক, আকস্মিক) : হঠাৎ নিউরন ডিসচার্জ অস্থিরতা, চমকানো, অতিরিক্ত উত্তেজনা বা সিজার সম্ভাবনা Epileptic burst বা সংকটের ইঙ্গিত।
3. Sharp Wave(দ্রুত উঠে ধীরে নামে) : আংশিক নিউরাল হাইপারএক্টিভিটি বিভ্রান্তি, অবসন্নতা, cognitive dysfunction Temporal lobe dysfunction, epilepsy।
4. Complex (Spike-Wave) (স্পাইক + তরঙ্গ একত্রে) : Abnormal নিউরন সিঙ্ক্রোনাইজেশন চেতনার সাময়িক দমন (absence seizure), disconnect Absence epilepsy-এর signature।
5. Burst(হঠাৎ অনেক তরঙ্গ) : হঠাৎ নিউরন গ্রুপের সক্রিয়তা Intense dream, emotional surge, trauma recall REM sleep, অথবা মেমরি এক্সপ্লোশন।
6. Rhythmic (নিয়মিত প্যাটার্ন) : সুষম সিনক্রোনাইজড নিউরন ফায়ারিং মনোযোগ, যুক্তি, প্রশান্তি সচল ও নিয়ন্ত্রিত মনস্তত্ত্ব।
7. Arrhythmic(অসামঞ্জস্যপূর্ণ) : নিউরনের এলোমেলো সিগন্যাল বিভ্রান্তি, মস্তিষ্কের অবসাদ, চিন্তার অস্থিরতা Delirium, encephalopathy, বা brain injury।
Brain Frequency এর সাইকোলজিক্যাল কনক্লুশন
এই বিভিন্ন মানের বিভিন্ন প্যাটার্নের Brain Frequency যা আদতে হিউম্যান ব্রেইন এক্টিভিটির ধরণ’কে ইন্ডিকেট করে [যদিও আসলে নির্দিষ্ট কোন ফ্রিকোয়েন্সি মস্তিষ্কে ঠিক কি ভাবনা/চিন্তা চলমান সেটি আক্ষরিকভাবে ডিফাইন তথা সংজ্ঞায়িত করতে সক্ষম নয়; তদুপরি উক্ত চিন্তা/ভাবনা এর প্যাটার্ন আইডিয়েন্টিফিকেশানে কার্যত সহায়ক বৈকি]; যেটার পরিপূর্ণ এনালাইসিসের মাধ্যমে রিয়েলাইজেশান পূর্বক ইউটিলাইজেশান দ্বারা মানব মস্তিষ্কের চিন্তা চেতনা নিয়ন্ত্রণের যথাসম্ভব সচেষ্ট প্রয়াস নেওয়া যেতে পারে….
Psychological Frequency System কি?
Psychological Frequency System হলো আদতে একটি প্রস্তাবনা যেখানে ইতিপূর্বের আলোচ্য ঐ মস্তিষ্কের এক্টিভিটিগত ফ্রিকোয়েন্সি তথা Brain Frequency কে Psychological সাজেশন হিসেবে তরঙ্গায়িত স্বরূপে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টা – যা হতে পারে টেক্সট আকারে লেখনী, অডিও ফাইলে ভয়েজ বার্তা বা সুর ও সংগীত, ইমেইজ বা ফটো, এনিমেশন কিংবা ভিডিও, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ইত্যাদি [সাইকোলজিক্যাল সাজেশন যেমনই হউক না কেন সেটা যেন উপরের ঐ Brain Frequency এর ভ্যালুতে যেমন এক্টিভিটিগত ভ্যালিডিটি বজায় থাকে – তেমনি তরঙ্গের প্যাটার্নে যেন তাতে ইফিসিয়েন্সি বজায় থাকে; সর্বোপরি Psychological Frequency যেন কার্যত ইফেক্টিভ হয়] – যেন তাতে মস্তিষ্কের চলমান চিন্তা চেতনা পরমভাবে উপলব্ধিপূর্বক কার্যকরীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভবপর হয় আর তাতে আপনি আপনার আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হতে পারেন।
Psychological Frequency System আলোচনায় উপলব্ধিগত আলোকপাত:-
Delta
(1.1) Delta সিগনেচার সিগনিফিকেন্স:-
একরূপ আপাত মস্তিষ্কের নিষ্ক্রিয়তা তথা অচেতন কিংবা অবচেতন অথবা অচেতন ও অবচেতনের সংম্রিশণে একদম নির্ভার ও নির্লিপ্ত মানসিকতায় কোনরূপ মূল্যায়ন ব্যাতিরেকেই যেকোন সাইকোলজিক্যাল সাজেশন মস্তিষ্কে সত্যাতিসত্য রূপে গ্রহণ করার অবকাশ।
(1.2) Delta সিগনেচার সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশন:-
এটা ব্যক্তির গভীর ঘুমের কোন এক পর্যায়/REM মুহূর্ত/আধো জাগরণ এবং আধো ঘুমের অন্তিম পর্যায় যখন চূড়ান্ত ঘুমের তরে মস্তিষ্ক ডেডিকেটেড হয়ে পড়ছে/অতিশয় সামান্য ইষৎ সচেতনতায় ঘুম হতে জাগরণের পূর্বে প্রায় অচেতন মূহুর্ত ইত্যাদি
(1.3) Delta সিগনেচার ইমপ্লিমেন্ট:-
এমন সাইকোলজিক্যাল সাজেশন যা এতোটাই নরমালাইজড যেন তাতে আলাদা করে মস্তিষ্কের ভাবনা চিন্তাতে বিচার বিবেচনা ও যৌক্তিক মূল্যায়নের প্রয়োজন পড়বে না – সহজাতভাবেই যেন এই সাজেশন মস্তিষ্কে সাইকোলজিক্যালি ইমপ্যাক্টিভ হতে সহজ ও সরলভাবে সন্দেহাতীত বা সংকোচ ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবে গৃহীত হতে সক্ষম হয়।
Theta
(2.1) Theta সিগনেচার সিগনিফিকেন্স:-
শান্ত এবং প্রশান্ত মানসিকতায় গভীর মানসিক রিলাক্সেশানের পর্যায়ে আত্ম মগ্নতাতে প্রায় অবচেতন মানসিকতায় সৃজনী চেতনা, আবেগীয় অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ, স্মৃতির পুনঃসূত্রায়নে অভ্যন্তরীন অনুভূতির জাগ্রায়ন ইত্যাদি
(2.2) Theta সিগনেচার সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনস:-
অবচেতন মনের স্তরে গভীর রিলাক্সেশানের পর্যায়ে সেটা হতে পারে গভীর ঘুমের প্রচ্ছন্নতায় ডুবে যাবার প্রাক প্রাথমিক নির্লিপ্ততার আপাত পূর্ব মুহূর্ত (প্রায় অনিচ্ছাকৃত) কিংবা মেডিটেশনের মুহূর্ত (ইচ্ছাকৃত) – যখন সচেতনভাবে অবচেতন মনের এক্সেস করতে প্রয়াসিত হয় বা হই।
(2.3) Theta সিগনেচার ইমপ্লিমেন্ট:-
এমন সাইকোলজিক্যাল সাজেশন যেন তা আপনার মনের কনশিয়াস তথা যুক্তির বন্ধনী বা বেষ্টনী পেড়িয়ে সাবকনশিয়াস তথা অবচেতন স্তরে রিচ করতে পারে – শুধুমাত্র রিচ করায় নয় বরং সেটা যেন নূন্যতম ইফিসিয়েন্সিও বজায় রাখে এমন (যদিও সাবকনশিয়াস মাইন্ডে কনশিয়াস গেইট পেরিয়ে রিচ করতে পারলেই সেটা আক্ষরিকভাবল ইফেক্টিভ হয় বলা চলে) স্পেসিফিকেশান গভীর, শান্ত, সহজ কিন্তু প্রগাঢ়, ইতিবাচক ও যৌক্তিকতার আপাত সহজাত মান্যতা স্বীকার হয় এমন সাইকোলজি সাজেশন।
Alpha
(3.1) Alpha সিগনেচার সিগনিফিকেন্স:-
প্রশান্ত মানসিকতায় রিলাক্সেশন বৈকি তথাকি একই সাথে গভীরভাবে উপলব্ধি, সচেতন মানসিক অবস্থা এবং স্থিতিশীলতা, ধীর স্থিরতায় কোন বিষয়ে ফোকাসড হওয়া এবং প্রয়োজনে ঐ অবস্থা হতে মূল্যায়নে লার্নআপ করার মানসিকতা।
(3.2) Alpha সিগনেচার সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনস:-
গভীর চিন্তা চেতনা ও ভাবনায় আত্মনিয়োগ করা – তথাপি সচেতন মানসিকতা অক্ষুণ্ণ রাখা; পরিবেশ ও পরিস্থিতি স্বাপেক্ষ পূর্ণ সজাগ থেকে উপযুক্ত তথা ইফেক্টিভ মনে হয় এমন যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে প্রয়াসী মানসিকতা।
(3.3) Alpha সিগনেচার ইমপ্লিমেন্ট:-
এমন সাজশন যা ব্যক্তিকে মানসিক স্বস্তির সাথে সাথে নির্ভারতা প্রদান করবে – তদুপরি উহার যৌক্তিকতার মূল্যায়নে যেন ভ্যালিডিটি নিহিত থাকে।
Beta
(4.1) Beta সিগনেচার সিগনিফিকেন্স:-
কনশিয়াস মাইন্ডের এক্টিভ (সক্রিয়) অবস্থা যাতে যুক্তিগত বিশ্লেষণে তুলনামূলক ইফেক্টিভিটি লাভের প্রয়াসী মানসিকতা।
(4.2) Beta সিগনেচার সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনস:-
সজাগ ও জাগ্রত মানসিকতা যৌক্তিকতা অনুসন্ধান, লাভ/ক্ষতি বিচার, ঘটনার পেছনের কারণ অনুসন্ধান কিংবা ভবিষ্যের কোন স্পেসিফিক বিষয়ে সম্পর্কে যৌক্তিক আনুমানিক ধারনা পোষণ, বর্তমানের অবস্থা – পরিবেশ ও পরিস্থিতি যাচাইকরণে সিদ্ধান্ত গ্রহন, মোটিভেট মানসিকতায় উদ্দীপিত হওয়া।
(4.3) Beta সিগনেচার ইমপ্লিমেন্ট:-
কনশিয়াস মাইন্ডের সক্রিয়তায় যৌক্তিকতার সর্বোচ্চ সুনিশ্চিত ব্যবহারের নিশ্চয়তা, গভীর এনালাইসিস প্রক্রিয়াতে সকল সম্ভাবনার দিকসমূহ বিচার ও বিশ্লেষণ পূর্বক ইফেক্টিভ হবে এমন সিদ্ধান্তে প্রয়াস রাখে এরূপ সাজেশন।
Gamma
(5.1) Gamma সিগনেচার সিগনিফিকেন্স:-
কনশিয়াস মাইন্ডের তীব্রতর সক্রিয় অবস্থা [যদিও এই খুব সক্রিয় থাকা বিষয়টি সুষম সক্রিয়াত পরমভাবে সুষ্ঠু বলে আখ্যায়িত করা সর্বদাই সঠিক নয়] যেন তাতে প্রতিটি ঘটনার ডিপ লেভলে গিয়ে এনলাইসিস করার প্রয়াস চলে – অধিকতর যৌক্তিকতার আশ্রয়ে যখন কোনরূপ প্রশয় না মিলে তখন বেশ কিছু রহস্যময় জটিলতায় ইনটিউটিভিটি বা আধ্যাত্মিকতার মতো বিষয়গুলো উপনীত হয় – পক্ষান্তরে এটিও সঠিক যে এমন তীব্র মানসিক অবস্থায় অতিরিক্ত সচেতনতা, আত্মসচেতনতা, আত্ম উপলব্ধি, স্মৃতির এনালাইসিসের মতো ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
(5.2) Gamma সিগনেচার সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনস:-
খুবই উত্তেজিত (উদ্দীপনা বোঝাতে) সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনস – যাতে প্রাইমারীভাবে যৌক্তিকতা বা কনশিয়াসনেস হতে ধীরে ধীরে আবেগীয় অনুভূতি তথা সাবকনশিয়াস স্টেইটে প্রবেশের প্রয়াস; তদুপরি এই প্রয়াসিত মধ্যবর্তী জার্নিতে এমন উদ্দীপনায় মস্তিষ্কে আলোড়িত অবস্থার উদয় ঘটে।
(5.3) Gamma সিগনেচার ইমপ্লিমেন্ট:-
আলোড়িত মস্তিষ্কে এমনভাবে ট্রিট করা যেন তা আরও খানিক উদ্দীপনায় আবিষ্ট হতে পারে – যখনই সেই আবিষ্ট অনুভূতিতে সাইকোলজিক্যাল সাজেশন আত্মীয়করণ ঘটবে তখন সহজাত উদ্দীপনার হরমোন নিঃসরণে হ্রাস হওয়ার সাথে সাথে পুনরায় রিসাইকেল প্রক্রিয়ার রিহ্যাবিটেশনের মতোই আবার ডেলটা > থেটা > আলফা / থেটা > ডেলটা > আলফা / আলফা > থেটা > ডেলটা ইত্যাদি প্যাটার্ন ফলোআপে ইফেক্টিভ সাইকোলজিক্যাল সাজেশনের স্বার্থকতা সূচিত হবে; অপরাপর ঐরূপ উদ্দীপিত মানসিক অবস্থিতিতে বিশেষভাবে কনশিয়াস কর্তৃক সাবকনশিয়াসে [কিছুক্ষেত্র এটি স্থায়ীভাবে আনকনশিয়াসেও] নির্দিষ্ট সাইকোলজিক্যাল সাজেশন ইমপ্লিমেন্টে প্রগাঢ় ইফেক্টিভিটি ক্রিয়াশীল হয়।
হিউম্যান ব্রেইন কনট্রোল মেথড
হিউম্যান ব্রেইন তথা হিউম্যান সাইকোলজি এক্সেস এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ কিছু উপায়/পদ্ধতি তথা মেথড নিম্নে আলোচনা করা হলো – আশা করা যায় আপনার মস্তিষ্কের খোরাক যোগাবে যা আপনার নিজের এবং অন্যের ব্রেইনে ইফেক্টিভ ইফিসিয়েন্সি পথ দেখতে পারবে…
(১) Binarual Beats – মূলত দুই কানে দুটি ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ তরঙ্গ প্রয়োগে উভয়ের ভেতর যে ফ্রিকোয়েন্সিগত পার্থক্য তাতে ব্রেইন ফ্রিকোয়েন্সি ডেলটা,থেটা,আলফা,বিটা,গামা প্রভৃতি ব্রেইন এক্টিভিটি তরঙ্গের সাথে রেজোন্যান্স তৈরীর মাধ্যমে ইফিসিয়েন্সি গেইন করার প্রয়াস।
(২) Brain Entertaining Music – ইউটিউবের মতো প্লাটফর্মে আপনি এমন অনেক রিলাক্সিং মিউজিক পাবেন যা আপনার মস্তিষ্কের ফ্রেশ এন্টারটেইনমেন্ট করবে; অন্যদিকে White Noice এর মতো মিউজিক কিংবা নির্ঝর বৃষ্টির টুপুর টাপুর সুরের ধারায় আপনাকে মোহিত করবে।
(৩) Isochronic Tone – একই ধারায় ক্রমাগত Sound এর On/Off এর লাগাতার [একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্দিষ্ট মাত্রায় যেমন 10Hz ফ্রিকোয়েন্সির জন্য 100ms] যে দ্বিতীয় ভাইব তৈরী হয় – তাতে মস্তিষ্ক উদ্দীপিত হতে পারে।
(৪) Visual Entertainment – যেমন নির্দিষ্ট একটি Light কে Flash করিয়ে 10 Hz জেনারেট করে অপ্টিক্যালি মস্তিষ্কের ব্রেইন ফ্রিকোয়েন্সীর সাথে রেজোন্যান্সি তৈরী করার প্রয়াস।
(৫) tDSC – নির্দিষ্ট মাত্রার ইলেকট্রিক সিগন্যাল মস্তিষ্কের স্ক্যাল্পে প্রয়োগের মাধ্যমে ব্রেইন এক্টিভিটি ডেভোলপ করার প্রচেষ্টা।
(৬) TMS – ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের মাধ্যমে মস্তিষ্কে উদ্দীপনা তৈরীতে ইমুলেশান প্রক্রিয়া।
(৭) BreathWork & Meditation with Audio – যেখানে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে মেডিটেশন এবং এরই সাথে ব্রেইন ফ্রিকোয়েন্সীর সাথে রিলেট করবে এমন মিউজিক।
(৮) Monaural Beats – একই ফ্রিকোয়েন্সি চ্যানলে (শ্রুতিধারায়) দুটি ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ তরঙ্গ হতে পার্থক্যগত মানে যে তৃতীয় মাত্রার ফ্রিকোয়েন্সী – উহা দ্বারা মস্তিষ্কের এক্টিভিটিগত ফ্রিকোয়েন্সি রেজোন্যান্স এক প্রকার স্টিমুলেটিভ সিস্টেম বা সহজভাবে স্টিমুলেশান।
(৯) Nature Sound with White Noise – যেখানে হোয়াইট নয়েজ ন্যাচারাল নয়েজের সাথে মিলিয়ে মস্তিষ্কে উদ্দীপনা সৃষ্টি করা।
(১০) Light Flicker / Strobe – আলোক ধারায় একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর উজ্জ্বল অনুজ্জ্বল বা On/Off প্রক্রিয়া; এখানেও এই যে অপ্টিক্যাল আলোক ধারা তাতে ফ্রিকোয়েন্সির খেলা চলে যেমন 10Hz [সময়ের বিচারে কতোবার এই আলোক উজ্জ্বলতার পার্থক্যগত মান হবে এবং আলোক উজ্জ্বল এবং বর্ণ বা রং এর স্বরূপ]।
(১১) VR – ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে মস্তিষ্ক উদ্দীপনা সৃষ্টি; এটি এতোটাই প্রখর হতে পারে যে মৃত সন্তানকে ফিরে পাবার অনুভূতি গেইনিং হতে পারে মায়ের মস্তিষ্ক অথবা আপনার হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনকে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি মাধ্যমে সান্নিধ্যে পেতে পারেন; AI এর জগতে এটির আরও বহুল ব্যবহার বিদ্যমান।
(১২) Ganzfeld Effect – এটি কিছুটা উইয়ার্ড হলেও এটির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে এমন হ্যালুসিনেশান কিংবা বলা ভালো “অল্টারনেট কনশিয়াসনেস” তৈরী করা যেখানে দৃষ্টি, শ্রবণ ও অনুভূতির ব্যবহারে মস্তিষ্ক স্টিমুলেট করে ব্রেইন এক্টিভিটি ডেভোলপ করা যেতে পারে।
(১৩) tACS – এটি এমন একটি উপায় যেখানে নিরাপদভাবে বৈদ্যুতিক সিগন্যাল ব্রেইনে নিউরস্টিমুলেশান তৈরী করে।
(১৪) CES – এটিও এক প্রকার নন ইনভেসিভ প্রক্রিয়াতে মস্তিকে ইলেকট্রিক সিগন্যাল পরিবহনের মাধ্যমে ব্রেইন এক্টিভিটি ডেভোলপমেন্ট [এখানে ইনপুট করা AC ইলেকট্রিক সিগন্যালটিও একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মাইক্রোএম্পিয়ারের হয়ে থাকে]
(১৫) Mediation – ধ্যান এর মাধ্যমে মনঃসংযোগ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সাইকোলজিক্যাল উদ্দীপনাতে জীবনে স্পেসিফিক কোন টার্ম বা সাবজেক্টে ইফেক্টিভিটি লাভ।
(১৬) BreathWork – শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনস নিয়ন্ত্রণের প্রয়াস
(১৭) Mantra Chanting OM – এটি মন্ত্রের মাধ্যমে “ওঁম” শব্দের আচরণগত বহিঃপ্রকাশে সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনস ওয়াইজ মানসিক ডেভলপমেন্ট; এটি যদিচ সনাতনী ধর্মের সাদৃশ্যতা – তথাপি মূল ফ্যাক্ট হলো “বিশ্বাস” এর ইউটিলাইজেশান হতে মানসিক উন্নয়ন প্রয়াস- যেখানে ধ্বনিগত স্পন্দনের সাথে অবচেতন মনের বিশ্বাসী চেতনা প্রযুক্ত হয়।
(১৮) Yoga Nidra – হলো “ইয়োগা” এর নিয়মতান্ত্রিক আচরণে এক বিশেষ “নিদ্রা” ব্যবস্থায় সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনস ডেভোলপমেন্ট প্রয়াস – যেখানে ফিজিক্যাল ফ্যাক্ট এবং সাইকোলজিক্যাল বিলিফ এর উভয়ের সম্মিলনে ব্রেইন এক্টিভিটির ইফেক্টিভিটি গেইন।
এটি অনেকটাই কনশিয়াসলি সাবকনশিয়াস মাইন্ডে স্থিতিস্থাপকতা অর্জন।
(১৯) Hypnosis – সম্মোহনের মাধ্যমে সাইকোলজিক্যাল উদ্দীপনায় অবচেতন মনের আচরণ বিশ্লেষণ ও ব্যবহারে ব্রেইন এক্টিভিটি ডেভোলপমেন্ট/এক্সেস ও কনট্রোল করার প্রয়াস।
(২০) Psychedelic – এর মাধ্যমে মস্তিষ্কে রাসায়নিক প্রভাবের মাধ্যমে চিন্তা চেতনায় প্রভাব বিস্তার; যা মাইন্ড ম্যানিফেস্টিং ঘটায় চেতনা, অনুভূতি এবং উপলব্ধি’তে।
(২১) Extreme Cold – মস্তিষ্কের স্পেসিফিক স্থানে তীব্র ঠান্ডা প্রয়োগে তাপমাত্রার পার্থক্যে ব্রেইন এক্টিভিটি ডেভোলপমেন্ট প্রয়াস।
(২২) Tibetan Singing Bowls / Crystal Bowls – এক বিশেষ ধরনের Bowls তে ঘর্ষণের মাধ্যমে সাউন্ড ফ্রিকোয়েন্সী তৈরীতে ব্রেইন এক্টিভিটিতে প্রভাব সৃষ্টি করা – যা ধ্যান, হিলিং এবং মাইন্ডফুলনেসে সহায়ক হতে পারে।
(২৩) Dark Room Retreat (Sensory Isolation Over Days) – একটি অন্ধকার বদ্ধ রুমে আবদ্ধ থেকে মস্তিষ্কের চিন্তা চেতনায় প্রভাব বিস্তার প্রয়াস।
(২৪) Float Tanks – Float Tanks (ফ্লোট ট্যাঙ্ক) যাকে বলা হয় Sensory Deprivation Tanks বা Isolation Tanks, হলো এমন একটি বিশেষ ডিজাইনের ট্যাঙ্ক যেখানে একজন ব্যক্তি লবণ মেশানো পানিতে ভেসে থাকেন সম্পূর্ণ নিঃশব্দ, অন্ধকার এবং ইন্দ্রিয়-বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। এটি একটি গভীর রিল্যাক্সেশন ও সাইকোলজিক্যাল হিলিং থেরাপি, যার মাধ্যমে মস্তিষ্ক চরম প্রশান্তি ও চেতনার গভীরে প্রবেশ করতে পারে।
(২৫) Sacred Geometry Visualization
হলো এমন কিছু জ্যামিতিক (geometry) প্যাটার্ন বা আকৃতি যেগুলো প্রাচীনকাল থেকে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বহন করে যেমন বৃত্ত, ত্রিভুজ, ষড়ভুজ, ফুল অফ লাইফ (Flower of Life), মেটাট্রন কিউব (Metatron’s Cube) ইত্যাদি দর্শনের বা দেখার মাধ্যমে ঐ সেই জ্যামিতিক প্যাটার্নগুলোকে যেন মনের মধ্যে সাইকোলজিক্যাল উদ্দীপনা যোগায়।
(২৬) Toning & Vocal Resonance – Toning এবং Vocal Resonance হলো সুর – ধ্বনি ও কন্ঠস্বরের মাধ্যমে সাইকোলজিক্যাল উদ্দীপনা জাগ্রত করা।
(২৭) Trantaka – যার মাধ্যমে যোগ ও ধ্যান পদ্ধতিতে চোখের মাধ্যমে অপ্টিক্যালি একাগ্রতা এবং মনোযোগী হওয়ার মানসিক প্রয়াস [সাইকোলজিক্যালি সাবকনশিয়াস মাইন্ডের বিশ্বাসগত চেতনার ইউটিলাইজেশান]
(২৮) Kundalini Activation – শারীরিকভাবে মানসিক শক্তি জাগ্রত করার প্রয়াস [সাইকোলজিক্যালি সাবকনশিয়াস মাইন্ডের বিশ্বাসগত চেতনার ইউটিলাইজেশান]
(৩০) Solfeggio Frequencies – একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি সেটের ধ্বনিগত স্পন্দন যা বিশ্বাসের সাথে যুক্ত শব্দের মাধ্যমে অডিটোরিয়াল সাইকোলজিক্যাল উদ্দীপনা জাগ্রত করা।
(৩১) Biofield Tuning (Human Energy Field Vibrations) – Biofield Tuning হলো একটি শক্তিশালী এবং আধুনিক এনার্জি হিলিং পদ্ধতি যা মানুষের বায়োফিল্ড বা “শারীরিক ও মানসিক এনার্জি ক্ষেত্র” এর কম্পন (vibrations) নিরূপণ ও সামঞ্জস্য করার মাধ্যমে কাজ করে।
(৩২) Lucid Dream Induction Techniques (Mnemonic / WILD / WBTB) – Lucid Dream Induction Techniques হলো সেই বিশেষ পদ্ধতিগুলো যেগুলো ব্যবহার করে স্বপ্নের মধ্যে নিজেকে সচেতন রাখা যায় — অর্থাৎ স্বপ্ন দেখে বুঝতে পারা যে এটা স্বপ্ন এবং সেই স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি অনেকেই মনের গভীরে নিজের ইচ্ছামতো স্বপ্ন দেখার জন্য ব্যবহার করেন।
(৩৩) Psychoactive Plant Rituals হলো এমন আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক প্রথাগুলো যেখানে মনের অবস্থা পরিবর্তন এবং গভীর অভিজ্ঞতার জন্য প্রাকৃতিক উদ্ভিদ থেকে তৈরি বিশেষ পদার্থ বা ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
(৩৪) Fractal Exposure হলো এমন একটি প্রক্রিয়া বা অভিজ্ঞতা যেখানে ফ্র্যাক্টাল প্যাটার্ন (Fractal Patterns) – অর্থাৎ স্বাভাবিক বা ডিজিটাল জটিল, স্ব-আকৃতির জ্যামিতিক চিত্রাবলী দেখতে বা অনুভব করতে হয় যা মনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।
(৩৫) Sigil Activation (চেতনা-স্নেহ চিহ্ন সক্রিয়করণ) হলো একটি আধ্যাত্মিক বা ম্যান্ট্রিক প্রক্রিয়া যেখানে একটি বিশেষ ডিজাইন করা সিগিল (Sigil) বা প্রতীককে মনের শক্তি দিয়ে জীবিত বা কার্যকর করা হয় যাতে তা চেতনা, ইচ্ছা বা উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সাহায্য করে।
(৩৬) Serpent Breathing হলো একটি বিশেষ শ্বাসপ্রশ্বাসের কৌশল যা প্রায়ই Nadi Shodhana (Alternate Nostril Breathing) ও ভিজ্যুয়ালাইজেশন এর সমন্বয়ে ব্যবহৃত হয়। এটি মস্তিষ্কের শক্তি প্রবাহ ও প্রাণশক্তি (প্রাণবায়ু) সুষম করার জন্য অত্যন্ত উপকারী [সাইকোলজিক্যালি সাবকনশিয়াস মাইন্ডের বিশ্বাসগত চেতনার ইউটিলাইজেশান]
(৩৭) Ganzfeld Effect হলো এমন একটি মনস্তাত্ত্বিক ও নিউরোসায়েন্স-সম্পর্কিত ঘটনা, যেখানে পূর্ণ সংবেদনশূন্য (sensory isolation) বা অস্পষ্ট ও অভিন্ন সংবেদনময় পরিবেশে মানুষ চমকপ্রদ মস্তিষ্কীয় প্রতিক্রিয়া বা এমনকি হ্যালুসিনেশন অনুভব করে।
(৩৮) Dream Incubation Rituals বা Pre-sleep Brain Programming হলো এমন একটি মানসিক ও আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া যেখানে ঘুমের আগে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের স্বপ্নকে নির্দিষ্ট দিকনির্দেশ বা সমস্যার সমাধানের দিকে পরিচালিত করা হয়।
(৩৯) Isochronic Repetition with Mirror Gazing হলো একটি গভীর মনঃসংযোগ, আত্ম-উপলব্ধি এবং চেতনা পরিবর্তনের কৌশল, যেখানে Isochronic Tones বা Repetition Sounds (একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সির স্পন্দন) ও আয়নার দিকে তাকিয়ে থাকা (Mirror Gazing) – এই দুটি টেকনিক একত্রে ব্যবহৃত হয়।
(৪০) Mantra Layering with Left-Right Brain Desync হলো একটি সাইকো-অ্যাকোস্টিক (psychoacoustic) এবং নিউরোলজিক্যাল টেকনিক, যেখানে মস্তিষ্কের বাম (Left) ও ডান (Right) হেমিস্ফিয়ার-এর কার্যক্রম সাময়িকভাবে ডিসিঙ্ক্রোনাইজ (desync) বা আলাদা করে, মন্ত্র (Mantra) এর একাধিক স্তর (layer) শুনিয়ে চেতনা পরিবর্তন, ট্রান্স ও গভীর অন্তর্জ্ঞান সৃষ্টি করা হয়।
(৪১) Magnetite Crystal Activation (Third Eye Induction) একটি আধ্যাত্মিক ও নিউরোসায়েন্স-আধারিত পদ্ধতি যার মাধ্যমে মাথার মধ্যবর্তী অংশে থাকা ম্যাগনেটাইট (Magnetite) ক্রিস্টালের উপর প্রভাব ফেলে Third Eye বা আজ্ঞা চক্র (Ajna Chakra) সক্রিয় করা হয়। এটি সতর্কতা, অন্তর্দৃষ্টি, ESP (Extra Sensory Perception) ও গভীর ধ্যানের অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করতে সহায়তা করে।
(৪২) Ancient Chant + Geometric Light Flash হলো একটি আধুনিক “neuro-spiritual activation technique” যেখানে প্রাচীন মন্ত্রোচ্চারণ (Chanting) ও জ্যামিতিক আলোর ঝলকানি (Geometric Light Flash) একসাথে ব্যবহার করে মানুষের চেতনা, অনুভব ও মস্তিষ্কের তরঙ্গকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়।
(৪৩) Neuro-Code Embedding (Binary + Image Flashing) হলো একধরনের চেতনাগত (consciousness-based) এবং স্নায়ুবৈজ্ঞানিক (neuro-scientific) পদ্ধতি যার মাধ্যমে মস্তিষ্কে নির্দিষ্ট তথ্য, সংকেত বা কোড এম্বেড বা রোপণ করা হয় — দ্রুত Binary কোড ও Image flashing-এর মাধ্যমে।
(৪৪) Ancestral Resonance Rituals হলো এমন একধরনের আধ্যাত্মিক ও সাইকো-রিচুয়াল পদ্ধতি যার মাধ্যমে আমরা নিজের পূর্বপুরুষদের (ancestors) শক্তি, স্মৃতি, জ্ঞান ও চেতনার সাথে সুর মিলিয়ে (resonate করে) গভীর সংযোগ স্থাপন করি — মানসিক, আত্মিক ও জেনেটিক স্তরে।
(৪৫) Sleep Paralysis Exploration হলো এমন এক মনোসাইকোলজিক্যাল এবং নিউরোসেন্সরি অভিজ্ঞতার অধ্যয়ন বা চর্চা যেখানে একজন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা সচেতনভাবে ঘুমের মধ্যকার প্যারালাইসিস অবস্থাকে পর্যবেক্ষণ বা এক্সপ্লোর করেন।
(৪৬) Hypnagogic Vibration Triggers হলো একধরনের মনস্তাত্ত্বিক ও স্নায়ুবৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া, যা মানুষ ঘুমে যাওয়ার আগের সংবেদনশীল মুহূর্তে (hypnagogic state) দেহ বা স্নায়ুতে কম্পন বা “vibrational sensations” অনুভব করে — এবং এই অবস্থাকে ইচ্ছাকৃতভাবে উদ্দীপিত (trigger) করা হয়।
(৪৭) RF + Binaural Beats / EMF Signal হলো এমন একটি নিউরো-সাইকো-টেকনোলজিক্যাল পদ্ধতি, যেখানে মানব মস্তিষ্কে বাহ্যিক কম্পাঙ্ক (frequency) প্রেরণ করে চেতনা, মনোসংযোগ, অনুভূতি বা মানসিক অবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়।
(৪৮) Directed RF Energy — বিশেষ করে DEW (Directed Energy We’apons) ও Microwave Auditory Effect — হলো এমন প্রযুক্তি যেখানে নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে শক্তি (RF বা মাইক্রোওয়েভ) পাঠিয়ে মানুষের শরীর, মস্তিষ্ক বা পরিবেশে সরাসরি প্রভাব ফেলা যায়।
(৪৯) Implanted RF Microchips (BCI – Brain-Computer Interface) হলো এমন একটি আধুনিক নিউরোটেকনোলজি যেখানে মস্তিষ্কের ভেতরে বা আশেপাশে ছোট RF-ভিত্তিক চিপ স্থাপন করা হয়, যা মস্তিষ্ক ও কম্পিউটার বা অন্য যন্ত্রের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে।
(৫০) MK-Ultra প্রজেক্ট: CIA-র মাধ্যমে RF + ড্রাগ + মন নিয়ন্ত্রণ করার রিসার্চ এনালাইসিস।
(৫১) Silent Sound Spread Spectrum (SSSS) হলো একটি প্রযুক্তি বা ধারণা, যেখানে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (RF) এবং অডিও সিগন্যালকে মিলিয়ে খুবই নরম ও সাবলীল (inaudible) তরঙ্গের মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কে গোপন বার্তা বা নির্দেশ প্রেরণ করার চেষ্টা করা হয়।
(৫২) DARPA Brain Mod Program: RF দিয়ে PTSD/স্মৃতি নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা।
(৫৩) Microwave Auditory Effect বা Frey Effect হলো একটি নিউরোফিজিওলজিক্যাল ঘটনা, যেখানে মানুষ নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সির মাইক্রোওয়েভ (microwave) তরঙ্গ শোনে যেন শব্দ বা কথা শুনছে, যদিও কোনো বাস্তব শব্দ তরঙ্গ উপস্থিত নেই।
(৫৪) RF-Induced Brainwave Entrainment হলো একটি পদ্ধতি যেখানে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (RF) তরঙ্গ ব্যবহার করে মানুষের মস্তিষ্কের তরঙ্গসমূহ (brainwaves) কে নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে সামঞ্জস্য করা বা “এন্ট্রেইন” (entrain) করার চেষ্টা করা হয়।
(৫৫) ইনফ্রা লাইট ব্রেইন ডেভেলপ বলতে সাধারণত বোঝানো হয় এমন একটি ধারণা বা পদ্ধতি, যেখানে অতিনিম্ন আলো বা ইনফ্রা লাইট (Infrared Light) ব্যবহার করে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা, স্বাস্থ্য ও বিকাশ উন্নত করার চেষ্টা করা হয়।
সুস্থ ও সুষ্ঠু মানসিক প্রক্রিয়ায় সফলকাম হউন – সুখ ও সম্পূর্ণতায় স্যাটিসফাইড হউক আপনার জীবন।
ফেসবুকে নিমন্ত্রণ রইলো : Humayun Shariar Himu
শুভকামনা রইলো।