
৪২% কাজ করে উধাও ঠিকাদারের লোকজন
সারাদেশ
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 2025-01-18
দু’বার মেয়াদ বাড়িয়েও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়ায় করতোয়া নদীতীরে বর্জ্য শোধনাগারের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। ২০২২ সালে এর নির্মাণ শুরু হলেও এখনও তা অসম্পূর্ণ। দেড় বছরে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৪২ শতাংশ শেষ করে ঠিকাদারের লোকজন চলে যায়। এক মাস ধরে কাজ বন্ধ আছে। কাজ দ্রুত শেষ করতে গোবিন্দগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের আবাসিক প্রকৌশলী একাধিকবার ঠিকাদারকে তাগিদ দিলেও অগ্রগতির দেখা মিলছে না। এতে পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
পৌরসভা সূত্র জানায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ শুরু হয়। ৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় জাকির হোসেনের মালিকাধীন জামালপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমআরকেএমডি (জেভি)।
এ বিষয়ে জাকির হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ফেরদৌস বলেন, কিছু সমস্যার কারণে কাজটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। শিগগিরিই কাজ শুরু হবে।
পৌরবাসী জানান, যথাযথ তদারকি না থাকায় কাজে গাফিলতি করে সময়ক্ষেপণ করেন ঠিকাদার। এতে যেমন কাজ এগোচ্ছে না, তেমনি সময়ের সঙ্গে ব্যয় বাড়িয়ে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তাতেও কাজের অগ্রগতি হয় না।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের আবাসিক প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, কাজ শেষ করার জন্য জনস্বাস্থ্য কার্যালয় থেকে ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নানা অজুহাতে কাজ শুরু করছে না। বর্জ্য শোধনাগারের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৪২ শতাংশ। এখনও অনেক কাজ বাকি। তবে শিগগিরিই এটি কাটিয়ে উঠতে পারব।
পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, ঠিকাদার কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য পৌরসভার প্রকৌশলীদের বলা হয়েছে।