রাউজানে ৩০ লাখ টাকার সোলার যন্ত্রপাতি উধাও

রাউজানে ৩০ লাখ টাকার সোলার যন্ত্রপাতি উধাও

প্রিয় চট্টগ্রাম

 প্রদীপ শীল, রাউজান (চট্টগ্রাম) 

2025-01-11

রাউজানের নোয়াজিশপুর ইউনিয়নে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সেচ প্রকল্পের অধীনে বসানো সোলার প্রকল্পের সব যন্ত্রপাতি রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গেছে। এ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না কৃষকদের মধ্যে। ২০১৮-১৯ সালে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল কৃষকদের পানি সংকট সমাধানে। তখন এই প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছিল প্রায় পৌনে ৩০ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাওয়া যেত। উপকারভোগী ছিলেন রাউজান ও ফটিকছড়ির কৃষকরা। 
জানা যায়, প্রকল্পের কাজ শেষ করে বিএডিসি চুক্তির ভিত্তিতে এটি পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নোয়াজিশপুরের সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলমকে। তিনি গত বছর পর্যন্ত কৃষকদের ক্ষেত-খামারে পানি দিয়ে আসছিলেন টাকার বিনিময়ে। 
স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই প্রকল্পের সেচ পাম্পসহ সব যন্ত্রপাতি রাতের আঁধারে খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকায় প্রচার করা হয়– ওসব যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেছে। 
সরেজমিন দেখা যায়, প্রকল্পের প্রধান মোটরটি সর্তা খালের পাড়ে একটি পাকা নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখা ছিল। এই বেষ্টনী এখন ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশে আছে। পানির প্রবাহ লাইনে দেওয়া ছিল কিছু ধাতব যন্ত্র। সেগুলোও উধাও হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ হানিফ সমকালকে বলেন, ‘আমি শুনেছি সরকার পতনের পরপর এই প্রকল্প পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা আলম মেম্বার সোলার প্যানেলের মোটর খুলে নিয়ে গেছেন।’ জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলম মেম্বার প্রকল্পের মোটর খুলে নেওয়ার কথা অস্বীকার করে সমকালকে বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরপর তিনি এলাকা ছেড়েছিলেন। ওই সুযোগে কে বা কারা সোলার প্রকল্পের মোটরসহ যন্ত্রপাতির সঙ্গে
একটি ধাতব মই ছিল। সবকিছু চুরি করে নিয়েছে গেছে। তিনি দাবি করেন প্রকল্পের যন্ত্রপাতির সাথে সেখানে তার নিজের আরো দুটি পাম্প মোটর ও কয়েক প্রজাতির বীজ ছিল সেগুলোও চুরি করা হয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে তিনি উপজেলা কৃষি বিভাগ ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 
উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মাসুম কবির এ প্রসঙ্গে সমকালকে বলেন, ওই প্রকল্পের সাথে তাদের তেমন সংশ্লিষ্টতা নেই। সেটির সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব বিএডিসির। অবশ্য গত বছরের ২৭ আগস্ট মোহাম্মদ আলম নামের একজন তার দপ্তরে প্রকল্পের যন্ত্রপাতির চুরি বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বিএডিসি উপ সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ৫ আগষ্টের পর এলাকায় প্রকল্প ম্যানেজার হুমকীর মাঝে ছিল। বাড়ি থেকে বের হতে পানেনি। সেই সুযোগে মোটর সহ বিছু যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে যায়। স্যোলার প্লেন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ভালো আছে। পানি সেচ স্যোলার প্লেনটি চালু করার জন্য আমরা নতুন বরাদ্দ প্রদান করব।

© Samakal
Shares:
Leave a Reply