তো আপেল তাদের নতুন মডেল iPhone 16e লঞ্চ করতে যাচ্ছে। তো চলুন এ সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু জেনে নেয়া যাক।

ডিসপ্লে

iPhone 16e মডেলটিতে ৬.১ ইঞ্চির সুপার রেটিনা এক্সডিআর ওএলইডি ডিসপ্লে রয়েছে। তবে এতে ‘ডায়নামিক আইল্যান্ড’ সুবিধা নেই।

প্রসেসর ও পারফরম্যান্স

নতুন এই মডেলটি শক্তিশালী A18 চিপসেট দ্বারা চালিত, যা আগের প্রজন্মের তুলনায় আরও উন্নত কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে। স্মুথ মাল্টিটাস্কিং ও গেমিং পারফরম্যান্সের জন্য এটি উপযোগী।

ডিজাইন ও বিল্ড

iPhone 16e-এর ডিজাইন অনেকটা iPhone 14-এর মতো, তবে এতে সামনের ক্যামেরার জন্য একটি নচ রয়েছে। ফেস আইডি সুবিধা থাকলেও এতে টাচ আইডি অনুপস্থিত।

ক্যামেরা

এই মডেলে রয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের একটি রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে, যা উন্নত ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চমানের ছবি তুলতে সক্ষম। সামনে রয়েছে একটি সেলফি ক্যামেরা।

চার্জিং ও ব্যাটারি

iPhone 16e মডেলটি ৭.৫ ওয়াটের কিউই ওয়্যারলেস চার্জিং সমর্থন করে। তবে এতে ম্যাগসেফ প্রযুক্তি বা দ্রুত ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা নেই।

সংযোগ ব্যবস্থা

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, iPhone 16e-তে লাইটনিং পোর্টের পরিবর্তে ইউএসবি-সি পোর্ট সংযোজন করা হয়েছে।

স্টোরেজ ও র‍্যাম

অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কমপক্ষে ৮ গিগাবাইট র‍্যাম প্রয়োজন, যা ধারণা করা হচ্ছে এই মডেলে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। স্টোরেজের জন্য ১২৮ জিবি, ২৫৬ জিবি এবং ৫১২ জিবি অপশন থাকবে।

পানি ও ধুলোর প্রতিরোধ ক্ষমতা

উন্নত আইপি রেটিং থাকার ফলে iPhone 16e পানি ও ধুলার প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সক্ষম।

মূল্য ও প্রাপ্যতা

iPhone 16e-এর প্রাথমিক মূল্য ৫৯৯ মার্কিন ডলার (প্রায় ৭২,০০০ টাকা)। প্রি-অর্ডার শুরু হবে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি বাজারে আসবে। এটি সাদা ও কালো রঙে পাওয়া যাবে।

অ্যাপলের নিজস্ব মডেম

Apple এই মডেলে প্রথমবারের মতো নিজস্ব মডেম ব্যবহার করেছে, যা কোয়ালকমের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা একটি বড় পদক্ষেপ।

তো আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন। বিদায়।

Shares:
Leave a Reply