গুগলের নতুন এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ‘জেমিনি’ আসছে, এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এটি ধীরে ধীরে পুরানো গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টকে পরিবর্তন করে ডিফল্ট অপশন হিসেবে স্থান করে নেবে।
এই সিদ্ধান্তটি গুগলের বৃহত্তর এআই রূপান্তরের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে তারা ব্যবহারকারীদের জন্য আরও বুদ্ধিমান, দ্রুত ও প্রাকৃতিক ভাষা বোঝার সক্ষমতা সম্পন্ন একটি সহকারী সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কী কী পরিবর্তন আসছে?

  • বহুমুখী ডিভাইস সাপোর্ট: শুধুমাত্র স্মার্টফোন নয়, ট্যাবলেট, গাড়ির ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, হেডফোন, এবং স্মার্টওয়াচসহ নানা সংযুক্ত ডিভাইসে ‘জেমিনি’ নতুন ডিফল্ট সহকারী হিসেবে চালু হবে।
  • এমনকি কিছু স্মার্ট হোম ও স্ট্রিমিং ডিভাইসেও এর প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
  • উন্নত এআই ফিচার: নতুন সহকারীটি কেবলমাত্র কমান্ড অনুসরণ করবে না, বরং প্রাসঙ্গিক তথ্য বিশ্লেষণ করে, কন্টেক্সচুয়াল নির্দেশনা বুঝতে ও ভবিষ্যদ্বাণীমূলক সেবা প্রদানে সক্ষম হবে।
  • এটি ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে আরও সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে, যেমন স্বয়ংক্রিয় অ্যাপ্লিকেশন সুপারভিশন ও স্মার্ট রিমাইন্ডার ফিচার।
  • ধীরে ধীরে রূপান্তর: পিক্সেল সিরিজের নতুন ফোনে ইতিমধ্যে ‘জেমিনি’-এর প্রাথমিক রূপ দেখা গেছে।
  • তবে, অ্যান্ড্রয়েড ১০ বা তার পরবর্তী সংস্করণ ও কমপক্ষে ২ জিবি র‍্যাম যুক্ত ডিভাইসগুলোতে এই পরিবর্তন ধীরে ধীরে কার্যকর করা হবে, যাতে ব্যবহারকারীদের কোনো ধরণের অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়।

কেন এই পরিবর্তন?

গুগল বিশ্বাস করে যে, নতুন এআই সহকারী ‘জেমিনি’ ব্যবহারকারীদের জন্য আরও স্বাভাবিক, সাবলীল এবং বুদ্ধিমান অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে যেখানে ব্যক্তিগতকৃত সহায়তার গুরুত্ব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে এই পদক্ষেপটি ভবিষ্যতের চাহিদা অনুযায়ী উন্নত প্রযুক্তি ও প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণকে আরও এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া ও প্রত্যাশা

অনেক প্রযুক্তিপ্রেমী ও সাধারণ ব্যবহারকারী ইতিমধ্যে এই পরিবর্তনের প্রতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন, কারণ এতে করে প্রতিদিনের কাজকর্ম আরও স্বয়ংক্রিয় ও সুবিধাজনক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে, কিছু পুরনো ডিভাইসের ক্ষেত্রে ‘গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ এখনো কার্যকর থাকতে পারে, যার ফলে ধীরে ধীরে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলবে।
সর্বোপরি, গুগলের এই নতুন উদ্যোগ ব্যবহারকারীদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ প্রদর্শনের প্রতিশ্রুতি দেয়, যেখানে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও মানবিক, প্রাসঙ্গিক ও দ্রুত সমাধান পাওয়া যাবে।

তো আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন। বিদায়।

Shares:
Leave a Reply