জামায়াতে নামাজ কী?

জামায়াতে নামাজ বলতে একসঙ্গে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা বুঝায়। সামনে একজন ইমাম দাঁড়ান, তার পেছনে মুসল্লিরা সোজা হয়ে সারিতে দাঁড়িয়ে ইমামের সকল পদক্ষেপ অনুসরণ করে নামাজ পড়েন।

জামায়াতে নামাজের সওয়াব

হাদিসে বর্ণিত আছে, “জামায়াতে নামাজ একা নামাজের থেকে ২৭ গুণ শ্রেষ্ঠ।” তাই যত বেশি সংখ্যক মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়বে, আল্লাহর কাছে ততই বেশি বরকত।

জামায়াতে নামাজের মূল নিয়ম

  • ইমাম হওয়ার শর্ত: কোরআন ভালোভাবে জানা ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিকে ইমাম হতে হবে।
  • সারি পূরণ: প্রথম সারি ভরার পর পরের সারি করে সবাই সোজা সারিতে দাঁড়াতে হবে।
  • ইমামকে অনুসরণ: ইমাম যখন “আল্লাহু আকবর” বলবেন, আপনি বলবেন; ইমাম রুকু করলে রুকু; সিজদা ও উঠে বসা—সবই ইমামের পেছনে করতে হবে।

সূরা পাঠের নিয়ম

ইমামের পাঠ

ফজর, মাগরিবের প্রথম দুই রাকাত ও ইশার প্রথম দুই রাকাতে ইমাম উচ্চস্বরেই আল‑ফাতিহা ও কোনো ছোট সূরা (যেমন ইখলাস) পাঠ করেন।

জোহর, আসর, মাগরিবের তৃতীয় রাকাত ও ইশার পরের দুই রাকাতে ইমাম নীরবে আল‑ফাতিহা ও সূরা পাঠ করেন।

অনুসারীর ভূমিকা

ইমামের পাঠ শুনে নামাজ চালিয়ে নেওয়া যথেষ্ট; আলাদা করে ফাতেহা বা অন্য সূরা জোরে বা মনে মনে পড়ার প্রয়োজন নেই। যদি ইমামের পাঠ শোনা না যায়, তখন নিজে আল‑ফাতিহা ও কোনো ছোট সূরা পড়ে নামাজ চালিয়ে নিন। মাগরিবের তৃতীয় রাকাতে ফাতিহার পর অন্য সূরা পড়ার প্রয়োজন নেই।

দেরিতে আসা ও মিসকরা রাকাত

যদি ইমামের সঙ্গে প্রথম ১ বা ২ রাকাত মিস হয়, কিন্তু রুকুতে ইমামকে ধরতে পারেন, তাহলে সেই রাকাত গ্রহণযোগ্য।

ইমাম সালাম দিলে দাঁড়িয়ে মিস করা রাকাতগুলো আলাদাভাবে (কাদা) পূরণ করতে হবে। প্রতিটি কাদা রাকাতে আল‑ফাতিহা ও কোনো ছোট সূরা (যেমন ইখলাস) পড়ুন।

নোট

বাংলাদেশে সাধারণত হানাফি মত অনুসরণ করা হয়; তাই নীরব নামাজে আলাদা করে ফাতেহা বা সূরা পড়া মাকরূহ (উত্তম নয়)। যদি কোনো কারণে ইমামের পাঠ না শোনা যায়, নিজে পড়লেই নামাজ সম্পূর্ণ হবে।

Shares:
Leave a Reply