দুরারোগ্য রোগ সমাধানে Zero Therapy!

দুরারোগ্য রোগ সমাধানে Zero Therapy

দুরারোগ্য রোগ বলতে এখানে এমন রোগ’সমূহ ইন্ডিকেট করা হচ্ছে যা সারানো যায় না এমন দুশ্চিকিৎস্য [সেটা হতে পারে বর্তমান সময়ের মেডিকেল চিকিৎসার আপাত সীমাবদ্ধতা কিংবা রোগীর একান্তই আর্থিক আনুকুল্যতা না থাকায় কোনরূপ উপয়ান্তর বিদ্যমান না থাকা অথবা একান্তই যেকোন নিরুপায় অবস্থা বা অবস্থান]; এরূপ অবস্থায় Zero Therapy হতে পারে সুখী ভাবে বেঁচে থাকার উপায় [অন্তত যতোক্ষণ না অবধি রোগী’টি মৃত্যুবরণ করছেন (কথাটি যদিও শুনতে বড়ই অমানবিক বা নিষ্ঠুর মনে হলেও এখন অবধি “মৃত্যু সকলের জন্যই অবশ্যম্ভাবী সত্য” তাই একজন রোগী উপরোল্লিখিত পরিস্থিতিতে যতোক্ষন না অবধি জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছেন তার পূর্ব অবধি আপাত সুখীভাবে যেন জীবন যাপন করতে পারেন সেই ব্যবস্থাপনা)] এবং আপাত সুস্থতার এক কার্যকরী সাইকোলজিক্যাল উপায় [এক্ষেত্রে Zero Therapy রোগের চিকিৎসা নয় বরং রোগ সমাধান করার উপায় হিসেবে বিবেচিত হলো]।

Zero Therapy বলতে একদমই যে চিকিৎসা করা হবে না এমন নয় বরং এটি আপেক্ষিক প্রস্তাবনা যাতে সময়, পরিবেশ ও পরিস্থিতি স্বাপেক্ষে একজন ক্লিনিক্যাল স্পেশালিষ্ট ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং গার্ডিয়ানের এর অনুমতি স্বাপেক্ষ লাস্ট ট্রিটমেন্ট হওয়া উচিত; আবার এমনটা যদি পরিস্থিতি হয় যখন ডাক্তার বা গার্ডিয়ান অনুপস্থিত কিংবা অপ্রতুল তখন প্রয়োজনে স্বার্থে যেকোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি এরূপ করতে পারেন বলে মনে করা যেতে পারে [যদিও এটা সামাজিকভাবে কিছুটা ঝুকিপূর্ণ বা বিভ্রাট ঘটাতে পারে তাই প্রস্তাবনার বিপরীতে সুনিশ্চিত একটি পদ্ধতি প্রণয়ন করা যেতে পারে] – মোদ্দাকথা Zero Therapy একদমই আপেক্ষিক!

Zero Therapy Functionl

(১) Zero Therapy -তে কপটভাবে হলেও এমন চিকিৎসা ব্যবস্থার আয়োজন করা যাতে রোগীর মনে আশ্বস্ততা জাগে যে তার সঠিক চিকিৎসা’ই হচ্ছে এবং তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন – তাতে সুখীভাবে জীবনে বেঁচে থাকার আশ্বাস পাবেন। যদিও এটাকে ছলনা মনে হতে পারে তথাপি প্লাসিবো ইফেক্ট রোগীর ব্রেইন সিগন্যালের হরমোন নিঃসরনে আপাত সুস্থতা [সুস্থতার অনুভাব] জাগাতে সক্ষম। (২) Zero Therapy এর একটি আপাত আদর্শ ক্ষেত্র হতে পারে হোমিওপ্যাথিক কেননা যদিও এই চিকিৎসা ব্যবস্থা একদমই ভিত্তিহীন তবুও যেহেতু যেহেতু তাতে একটি বড় জনগোষ্ঠী পূর্ব হতেই বিশ্বাসী তাই এটা ইফেক্টিভ হতে পারে [তবে ছলচিকিৎসায় যদি স্পিরিট মেশানো পানি অহামরি মূল্যে বিক্রি হয় তবে তা অবশ্যই একরূপ নির্লিপ্ত অনুচিত কর্ম বলে বিবেচিত হওয়া উচিত! তবে এখানেও সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট বিদ্যমান যে “বেশী টাকায় কেনা ঔষধ” গ্রহণে যে উদ্দীপ্ত মানসিকতা ক্রিয়াশীল হয় তাতে প্লাসিবো ইফেক্ট বোধহয় খানিক ত্বরান্বিত হয়]; প্রয়োজনে হোমিওপ্যাথি এর সহিত এলোপ্যাথি ট্রিকলি ব্যবহার করা যেতে পারে [কেননা রিলেটেড এলোপ্যাথি ঔষধ কিছুটা হলেও ক্রিয়াশীল হতে সক্ষম]। (৩) হোমিপ্যাথির মতোই ঝাড়ফুক, কবিরাজি, তাবিজ-কবচ ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে [যদি তাতে ছলচিকিৎসার মূল মোটিভ ঠিক থাকে এবং কেবলি চাতুর্যময় প্রতরাণার লাভজনক অভিলাষ না থাকে]। (৪) রোগীকে রোগের দুরবস্থা জানতে না দেওয়া এবং এমনভাবে আশ্বস্ত করা যেন তাতে তিনি সুস্থতার আশ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারেন – এক্ষেত্রে প্রিয়জনের মিথ্যা মোটিভেশন কাজে লাগতে পারে [মিথ্যা পজেটিভ রিপোর্ট, স্টেরয়েড বা স্নায়ু বিভ্রমকারী ড্রাগ ইত্যাদি ইফেক্টিভ হতে পারে]। (৫) রোগীকে এমন পরিবেশে থাকতে দেওয়া যেন তাতে তিনি ন্যাচারাল এক্টিভিটি করতে উজ্জীবিত হন [যেমন উদাহরণস্বরূপ রোগীকে হাত ধরে হাটিয়ে বাথরুমে না গিয়ে বলতে পারেন – “তুমি তো এমনিই একা একা বাথরুমে যেতে পারে, আমার সহায়তা লাগবে না – তুমি একাই যাও” যাতে সে মানসিক উদ্দীপনা লাভ করে; তথাপি সতর্ক সচেতনতা আবশ্যক]।

বিঃদ্রঃ Zero Therapy সম্পর্কে এখানে কিছু প্রাইমারি তথ্য প্রস্তাবনা আকারে দেওয়া হলো যেন বিষয়টি সকলে উপলব্ধি করতে সক্ষম হউন – তথাপি এটা রোগী, রোগীর অবস্থা, অবস্থান, প্রেক্ষাপট, পারিপার্শ্বিকতা, পরিবেশ প্রভৃতির ওপর নির্ভরশীল আপেক্ষিক বিষয় মাত্র!

সবিশেষ “মৃত্যু বেদনাদায়ক” এটা যেমন সত্য তেমনি মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত অবধি মৃত্যুর শঙ্কা, ভয়, অনিশ্চয়তা এবং একইসাথে শারিরীক ও মানসিক যন্ত্রণায় [শারিরীক যন্ত্রণা আরও কঠিন হয়ে যায় যখন তাতে মানসিক যন্ত্রণা যুক্ত হয়] ক্ষণিক জীবনকাল বর্ণনাতীত কষ্ট আর যন্ত্রণায় আবিষ্ট হতে পারে – সেখানে এই Zero Therapy হতে পারে এক অনন্য সমাধান!

ফেসবুক বন্ধুত্বের আমন্ত্রণ রইলো: Humayun Shariar Himu

Shares:
Leave a Reply