
মেডিকেল কর্মকর্তার মর্যাদা ও ৯ম গ্রেডের সমান বেতন দাবি
বাংলাদেশ
সমকাল প্রতিবেদক 2024-12-26
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা মাসিক ভাতা ৫০ হাজার টাকা করার দাবিতে পাঁচ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভাতা পাঁচ হাজার বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, সরকারি সুযোগ-সুবিধাসহ নবম গ্রেডের সমান বেতন-ভাতা চালু করতে হবে।
গতকাল বুধবার এ বিষয়ে সমকালের সঙ্গে কথা বলেন ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভাতা বাড়ানোর বিষয়টির আমরা স্থায়ীভাবে সমাধান চাই। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের যাতে এটা নিয়ে আর আন্দোলন করতে না হয়। ভাতা ৫০ হাজার যদি না-ই করে, তাহলে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্সের যে ডাক্তাররা আছেন, তাদের অবিলম্বে বেতন-ভাতাসহ সুযোগ-সুবিধাদি যেন ৯ম গ্রেড অনুযায়ী ধার্য করা হয়। এটা আমাদের যৌক্তিক দাবি। ৩০ হাজার টাকা থেকে ৯ম গ্রেডে উত্তীর্ণ করা হোক। আমরা মেডিকেল কর্মকর্তার সমমর্যাদা চাই। আমাদের দাবি যদি শিগগিরই বাস্তবায়ন করা না হয়, তাহলে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’
ডা. জাবির আরও বলেন, প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে ট্রেইনি চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিতে হবে। না হলে রোববার ঢাকায় আমরা মহাসমাবেশ করব।
৯ম গ্রেডে একজন মেডিকেল কর্মকর্তা ৩৪ হাজার টাকা বেতন পান। এর সঙ্গে উৎসব ভাতা ছাড়াও দুই ঈদের বোনাস পেয়ে থাকেন।
ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ২০২২ সাল থেকে দাবি জানিয়ে আসছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। ২০২৩ সালে তাদের ৫ হাজার টাকা ভাতা বাড়ানো হয়। চলতি বছর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ফের তারা আন্দোলনে নামেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিকের হার বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করে গত সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ বিভাগ।
সারাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে উচ্চতর শিক্ষার পাশাপাশি তারা হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, ‘চিকিৎসকদের দাবি যৌক্তিক। এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে এত নামমাত্র ভাতা দেওয়া হয়, যেটা অনেক কর্মকর্তার ড্রাইভারের বেতনের চেয়েও কম। সেই বিবেচনায় ২০ শতাংশ ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এর পরও তারা মানেনি। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
এ বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ও তাঁর বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানকে ফোন করা হলেও সাড়া মেলেনি।