
সাংবাদিককে পুলিশে দিলেন ছাত্ররা, দেখতে এসে ধরা আরেকজন
সারাদেশ
শেরপুর প্রতিনিধি 2025-01-20
শেরপুরে এক সাংবাদিককে ডেকে এনে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন দিয়েছেন ছাত্ররা। তাঁকে দেখতে এসে আদালত এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অপর এক সাংবাদিক নেতা। পরে দু’জনকেই কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তার দুই সাংবাদিক হলেন–মোশারফ হোসেন সরকার বাবু ও নূর হোসেন।
এর মধ্যে বাবু নকলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং দু’টি জাতীয় দৈনিকের নকলা উপজেলা প্রতিনিধি। আর নূর হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং স্থানীয় দৈনিকের জেলা প্রতিনিধি। বিশেষ ক্ষমতা আইন, নাশকতা এবং হত্যাসহ পৃথক মামলায় আজ সোমবার বাবু এবং রোববার নূর হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
সাংবাদিক নেতারা জানান, শনিবার রাতে নকলার হলপট্টি মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সমন্বয়ক এসএম মাসুমসহ ১০-১৫ জন সাংবাদিক নূর হোসেনকে ফোন করে ডাকেন। পরে মারধর করে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তাঁকে।
রোববার বিকেলে নূর হোসেনকে আদালতে নিয়ে আসা হলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বাবুসহ কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় আদালতের সামনে থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেরপুরে সবুজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাঁকে।
সমন্বয়ক এস এম মাসুম বলেন, সাংবাদিক নূর হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের পোস্ট শেয়ার করে আসছিলেন। এর আগেও তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সংশোধন না হওয়ায় তাঁকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে মারধর করা হয়নি।
জানা গেছে, বাবু নকলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। গত বছর অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে পরাজিত হন তিনি।
নকলা থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ছাত্ররা নূর হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তাঁকে মারধরের বিষয়টি তিনি জানেন না। আর সদর থানার ওসি মো. জুবায়দুল আলম বলেন, আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বাবুকে।